প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

চা শ্রমিক ইউনিয়নের দুগ্রুপে উত্তেজনা : নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলেও বিরোধীপক্ষ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়ে অবস্থান থেকে সরে আসে।
গতকাল রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের পাশ থেকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন ও সাধারণ চা শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ না করার দাবিতে ‘আমরা সাধারণ সদস্যরা’ ব্যানারে কয়েকশ চা শ্রমিক মিছিল করে মৌলভীবাজার সড়কে বাংলাদেশ লেবার হাউজের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যায়। সেখানে তারা ভেতরে প্রবেশ করে স্মারকলিপি দিতে চাইলে বর্তমান চা শ্রমিক ইউনিয়নের কিছু সদস্য তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় উত্তেজনা। তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে স্মারকলিপি প্রদানকারীদের পক্ষে সাত ভ্যালির সাতজন নেতাকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেন।
পরে তারা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি মাকন লাল কর্মকারের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
এ সময় লেবার হাউসের সামনে উত্তেজিত শ্রমিকরা বর্তমান কমিটির বিভিন্ন দুর্নীতি তুলে ধরে প্রতিবাদ সভা করে বক্তব্য দেন। তারা বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৮ মাস আগে। তারা অবৈধভাবে সাধারণ শ্রমিকের কাছ থেকে ১৫ টাকা করে সংগ্রহ করে মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছে। অন্যদিকে মালিকপক্ষের কাছ থেকে সাধারণ শ্রমিকদের ১৯ মাসের এরিয়ার বিল ও আন্দোলনকালীন বিল আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষে শ্রমিকনেতা সেলিম হক বলেন, এরা শ্রমিকদের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে নিজেদের পেট ভরছেন। সাধারণ শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য এদের সরাতেই তাদের আন্দোলনে নামতে হয়েছে। পরে তারা একই দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে বিকাল ৪টায় শ্রীমঙ্গল বিভাগীয় শ্রম দপ্তরেও স্মারকলিপি দেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি পংকজ কন্দ বলেন, আমরা সাধারণ চা শ্রমিকদের নামে একটি স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। তবে এ স্মারকলিপি প্রদান গণতান্ত্রিক পন্থা পরিপন্থি।
এ সময় চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা জানান, এরা রাজেন্দ্র প্রসাদ বুনার্জীর দল। যারা ৩৪ বছর চা শ্রমিক ইউনিয়নের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ঠিক, কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই নির্বাচনের জন্য শ্রম অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছেন এবং নতুন নির্বাচন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমুতি রয়েছে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে অন্য নেতা গীতা কানু বলেন, তারা রাজেন্দ্র প্রসাদ বুনার্জীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তৎকালীন বিএনপি সরকারের মদদে জোর করে লেবার হাউজ অবৈধভাবে দখল করে। বর্তমানে নির্বাচন বিহীন অবস্থায়ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ চা শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করছে। এদের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজীর মামলা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়