প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামের সদরঘাটে মানববন্ধন : কর্ণফুলী নদীতে ৭ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযানের দাবি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা করায় বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। গতকাল রবিবার দুপুরে নগরীর সদরঘাটে ‘চট্টগ্রামের নদী খাল রক্ষা আন্দোলন’ সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত না হলে আদালতের আদেশ অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, মেরিন ফিশারিজ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নোমান সিদ্দিকী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, সাংবাদিক রোকন উদ্দিন আহমেদ, ইছানগর বাংলাবাজার সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস, কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রমুখ। 
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্থাপনা উচ্ছেদ করতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান। গত ১৮ ডিসেম্বর সেই আদেশ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন গ্রহণ করার ২০ দিন অতিবাহিত হলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আগামী সাত দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার পাশাপাশি উচ্চ আদালতের আদেশ এবং নদী কমিশনের চেয়ারম্যানের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ হাইকোর্টে দাখিল করা হবে। 
পরিবেশবাদী সংগঠক প্রফেসর ইদ্রিস আলী বলেন, নদী জীবন্ত সত্তা। জীবন্ত সত্তা বিবেচনায় দখল দূষণে কর্ণফুলী নদীর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। এই নদীর দেহ দখল করে ছিন্নভিন্ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কর্ণফুলী রক্ষায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপরও এই নদীটিকে তিলে তিলে হত্যা করা হচ্ছে। যার জন্য জেলা প্রশাসক, বন্দর চেয়ারম্যান, সিডিএ চেয়ারম্যান, চসিক মেয়র ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সরাসরি দায়ী। নদী হত্যার জন্য আপনাদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। 
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, কর্ণফুলী রক্ষায় ব্যর্থতার দায়ভার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এড়াতে পারবে না। অচিরেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করুন। জনগণ আপনাদের স্বাগত জানাবে। নদীখেকোরা প্রশাসনের সামনে আনোয়ারা এলাকায় কর্ণফুলী দখল করে শিপ ইয়ার্ড তৈরি করেছে। আপনারা চুপ করে আছেন। জনগণের সম্পদ, দেশের সম্পদ, জীবন্ত সত্তা কর্ণফুলী হত্যার দায় আপনাদের নিতে হবে। 
অধ্যাপক নোমান সিদ্দিকি বলেন, কর্ণফুলী নদীর কারণে বাংলাদেশকে বিশ্বের অনেক দেশ জানে। এই নদীতে স্থাপিত চট্টগ্রাম বন্দর, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, ঐতিহ্যবাহী সাম্পান এ দেশের গর্বের প্রতীক। কিন্তু কর্ণফুলী দখল-দূষণে অনেক স্থানে তিনশ মিটারের বেশি ছোট হয়ে গেছে। অনেক স্থানে গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন, বন্দর সিটি করপোরেশন কর্ণফুলী নদী ব্যবহার করে হাজার কোটি টাকা আয় করে। কিন্তু নদী রক্ষার ব্যাপারে তারা বরাবর ধরি মাছ না ছুঁই পানি। প্রশাসন চাইলেই এক সপ্তাহে কর্ণফুলী দখলমুক্ত করা সম্ভব। আমরা নদী কমিশনের সেই আদেশের প্রতিফলন দেখতে চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়