কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিল রংপুর

আগের সংবাদ

বাংলাদেশ-ব্রাজিল বাণিজ্য বাড়ানোয় জোর প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

সেমিনারে শাকিল রিজভী : ঝুঁঁকির পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রাখতে হবে > ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভালো জায়গায় বিনিয়োগ করলে রিটার্ন আসতেই থাকে। এ ক্ষেত্রে ঝুঁঁকিও নিতে হবে এবং নিরাপত্তার-ব্যবস্থাও রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশনের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী।
গতকাল শনিবার অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর ‘আপনার টাকা কোথায় রাখবেন’ বিষয়ক সেমিনারে প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল মেলার শেষদিনে প্রথম সেমিনারে সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের এমডি মনিরুজ্জামান।
এছাড়া প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএসইর পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও শহীদুল আলম ও এডজ এএমসির সিইও আলী ইমাম। দ্বিতীয় সেশনে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের এক্সপোতে বিএসইসি, সিডিবিএল, বিআইসিএম, বিএএসএম, আইসিএবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবি, ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, লিস্টেড কোম্পানি, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানসহ ৩৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে শাকিল রিজভী বলেন, ভালো জায়গায় বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীর কাছে রিটার্ন আসতেই থাকে। সঞ্চয়পত্রে ৮ বছরে টাকা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অপরদিকে কত কম সময়ের মধ্যে বিনিয়োগের অর্থ দ্বিগুণ করা সম্ভব হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঝুঁঁকি নিতে এক্সপার্ট হলে পরবর্তীতে আরো বড় ঝুঁকি নেয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, কোনো বিনিয়োগকারী প্রথমদিকে পুঁজিবাজারে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে পারে। বাকি ৪০ লাখ টাকা নিরাপদ জায়গায় বিনিয়োগ করা উচিত।
মনিরুজ্জামান বলেন, বিনিয়োগের টাকা কোথায় রাখবো সেটা একটু চিন্তার বিষয়। সরকারের সঞ্চয়পত্র ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এসব প্রোডাক্টে বিনিয়োগ করায় কোনো সন্দেহ নেই। এখানের বিনিয়োগ সবচেয়ে নিরাপদ। এ সময় তিনি বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে জেনেশুনে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। এ সময় নাসির উদ্দিন বলেন, আমি সব সময় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের কথা বলি। কারো বয়স ৩০ বছর হলে তাকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে বলবো না। কারণ তার সামনে অনেক সময় আছে। বর্তমানে ইকুইটি মার্কেটে কম দামের অনেক শেয়ার আছে। এসব শেয়ারের দাম দুই বছরের মধ্যে ডাবল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুজব ও ইমোশনকে এড়িয়ে চলতে হবে। শেয়ার ট্রেড করতে কিছু খরচ আছে। এখানে বিনিয়োগ করার পরে আমরা অস্থির হয়ে পড়ি। পুঁজিবাজারে দুই ধরনের ঝুঁকি থাকে। একটি আর্থিক ঝুঁকি ও অন্যটি শারীরিক ঝুঁকি। পুঁজিবাজারে স্থির থাকতে পারলে বিনিয়োগ ঠিক থাকে। মার্জিন লোন নিয়ে শেয়ার লেনদেন করলে ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়।
এদিন শহীদুল আলম বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজে কোনো ঝুঁকি নেই। এই খাতে বিনিয়োগ করে টাকা বের করতে গেলে ব্যাংকে জমা হয়। সঞ্চয়পত্রে কোনো লিকুইডিটি নেই।
এক বছর পরে লিকুইডিটিসহ কিছু রিটার্ন পাওয়া যায়। ট্রেজারি বিল ও বন্ড যে কোনো সময় বিক্রি করা যায়। বর্তমানে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লিকুইডিটি করা সম্ভব। সরকারি খাতের বিনিয়োগে ট্যাক্সের পরে কি পাবেন সেটা দেখার বিষয়। তবে সঞ্চয়পত্রে কোনো ঝুঁকি নেই। তাই সঞ্চয়পত্রের পরে অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করা উচিত।
আলী ইমাম বলেন, সব পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করতে হবে। বর্তমানে আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের মূল্যস্ফীতিতে অনেক ঊর্ধ্বগতি। যেসব কোম্পানির গভর্নেন্স ও ব্যবস্থাপনা ভালো সেসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হবে। নিজের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এসব বিষয় খোঁজ নিতে হবে। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে টাকার মান কমছে। এর ফলে আমদানি কারকরা অনেক চাপে পড়ছে। তবে যারা রপ্তানি করে ডলার আয় করছে তাদের অবস্থা ভালো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়