৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সংসদ অধিবেশন

আগের সংবাদ

চ্যালেঞ্জ অনেক, প্রত্যয়ী আ.লীগ : অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা > সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরা ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া

পরের সংবাদ

রয়টার্সের সমীক্ষা : চলতি বছর নি¤œমুখী থাকবে জ্বালানি তেলের বাজার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : নতুন বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে চীনে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়ছে রেকর্ড উচ্চতায়। এ পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে ২০২৩ সালে জ্বালানির বাজার নি¤œমুখী থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। স¤প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে বিশ্ববাজারে সরবরাহ ঘাটতির উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারিতে দেশটির ওপর পরিশোধিত জ্বালানি পণ্যের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ঘাটতি চরম আকার ধারণ করতে পারে। এমন অবস্থায় জ্বালানিটির দাম বাড়ার বদলে কমবে। কারণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের শীর্ষ আমদানিকারক ও ব্যবহারকারী দেশ চীনে পণ্যটির চাহিদা প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত কমছে। অর্থনৈতিক শ্লথগতির প্রভাবে অন্যান্য দেশের চাহিদায়ও একই প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
রয়টার্স ৩০ জন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সমীক্ষার পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৯ ডলার ৩৭ সেন্টে দাঁড়াবে। নভেম্বরে পরিচালিত সমীক্ষার পূর্বাভাসের তুলনায় যা ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কম। গত বছর বৈশ্বিক বাজার আদর্শের গড় দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৯৯ ডলার।
অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের গড় দাম দাঁড়াতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৮৪ ডলার ৮৪ সেন্টে। আগের পূর্বাভাসে যা ছিল ৮৭ ডলার ৮০ সেন্ট। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের সহকারী অর্থনীতিবিদ ব্র্যাডলি সান্ড্রাস বলেন, আমরা মনে করছি, ২০২৩ সালের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার মধ্যে পড়তে পারে। কারণ উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়াচ্ছে। গত নভেম্বরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্রেন্টের দাম ১৫ শতাংশেরও বেশি কমেছে। সবশেষ গতকাল শুক্রবার বাজার আদর্শটি লেনদেন হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৮৪ ডলারে।
ওয়ানডা করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, মন্দার উদ্বেগ তীব্র আকার ধারণ করায় বৈশ্বিক চাহিদা পরিস্থিতিতে নি¤œমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও জ্বালানি তেলের সরবরাহ সংকুচিত। বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের বাজারেই নজর থাকবে বাজার সংশ্লিষ্টদের।
অনেক বিশ্লেষক বলছেন, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক দিকে মোড় নিতে পারে। কারণ সংক্রমণ বাড়লেও কোভিডসংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করছে চীন। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদের হার বাড়ানোর মাত্রাও কিছুটা শ্লথ হতে পারে। এসব কারণে রুশ জ্বালানি তেলের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার খুব বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। গোল্ডম্যান স্যাকসের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রুশ জ্বালানি তেলের ওপর দেয়া প্রাইস ক্যাপও বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না।
এদিকে জি-৭ ভুক্ত যেসব দেশ প্রাইস ক্যাপ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, সেসব দেশে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ মাস এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। চলতি সপ্তাহে এ-সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করে মস্কো।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কেপলার জানায়, অন্যদিকে রাশিয়ার জ্বালানি তেল রপ্তানি আশঙ্কাজনকহারে কমে যাওয়ায় ওপেক প্লাস ফের উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়