ইউনেসকোর প্রতিবেদন : দেশে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ ভাগ বহন করে পরিবার

আগের সংবাদ

তীব্র শীতে জবুথবু জনজীবন

পরের সংবাদ

মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো না ভূমিহীন মিরা-নিরঞ্জনের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই সালথা উপজেলার নিঃসন্তান ও ভূমিহীন দম্পতি নিরঞ্জন কুমার মালো ও মিরা রানির। উপজেলায় ভূমিহীনদের ৬৩৩টি ঘর দেয়া হলেও জোটেনি নিরঞ্জনের ভাগ্যে।
জানা যায়, উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের তুগোলদিয়া গ্রা?মের নিরঞ্জন কুমার মালো ৮ বছর আ?গে বিয়ে করেন উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের গট্টি পাটপাশা এলাকার রতিকান্ত মালোর কন্যা মিরা রানী মালোকে। বিয়ের ৮ বছরে এই দম্পতি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভাড়া থাকেন। শারীরিক অসুস্থতা সারাবছর লেগে থাকার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না নিরঞ্জন, মিরাও তেমন কাজ জানেন না। আবার বিবাহিত সন্তানের মুখ না দেখার কার?ণে কাজকর্মেও মন দিতে পারেন না তারা। একটা সন্তান ও মাথা গোঁজার ঠাঁই খ্ুঁজে ফেরেন সব সময়।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি ধাপে সালথার ৮ ইউনিয়নে ৬৩৩টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পে আরো অ?নেক ঘর দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ঘরই কপালে জুটেনি মিরা ও নিরঞ্জনের। নিঃসন্তান ভূমিহীন দম্পতি নিরঞ্জন কুমার মালো ও মিরা রানির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রায় ৫ বছর ধরে বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া থাকেন তারা।
সন্তান না থাকার কারণে বিভিন্ন জায়গায় তাদের আটকুরে অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।
এদিক সেদিক ঘুরে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে আবারো নতুন ঠিকানা খোঁজেন তারা।
নিরঞ্জন কুমার মালো ও মিরা রানি দম্পতি সরকার প্রধানের কাছে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই চেয়ে বলেন- প্রধানমন্ত্রী, আমরা নিঃসন্তান ভূমিহীন দম্পতি, আমাদের মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই নাই, আপনি আমাদের থাকার মতো একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। আমরা সারাজীবন আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য আশীর্বাদ করব।
ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগল। আরো আগে যোগাযোগ করলে হয়ত একটা ব্যবস্থা হয়ে যেত। তারপরেও আমি ঐ দম্পতিকে যথাযথ সহায়তা করার চেষ্টা করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। তবুও যদি কেউ আশ্রয়হীন থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়