ইউনেসকোর প্রতিবেদন : দেশে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ ভাগ বহন করে পরিবার

আগের সংবাদ

তীব্র শীতে জবুথবু জনজীবন

পরের সংবাদ

অপরিকল্পিত তাঁতকলের দূষণে অতিষ্ঠ জনজীবন : বেলকুচি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) থেকে : বেলকুচি উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে তাঁতশিল্প গড়ে উঠেছে। এই শিল্পের সুতা প্রসেস মিলের কেমিক্যালের বর্জ্যে পানি দূষিত হচ্ছে। এই পানি বিভিন্ন ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট করছে। এরই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানের জলাশয়গুলোতে আগে মাছ চাষ হলেও এখন মাছ চাষ হচ্ছে না দূষিত পানি জমাট থাকার কারণে। এছাড়া তাঁতকলের মালিকরা একের পর এক অপরিকল্পিত কারখানা তৈরি করে শব্দ দূষণ বায়ু দূষণ পানি দূষণের মহাউৎসবে পরিণত করেছে। এতে করে শিশুসহ সব মানুষ পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে তাঁত শ্রমিক শাহাদাত হোসেন জানান, বিদ্যুৎ চালিত পাওয়ারলুম মেশিনে প্রচুর শব্দ হওয়ায় শ্রমিকের কানে সমস্যা হচ্ছে। আমি নিজেও এখন কানে কম শুনি। তাঁত মালিকরা লাভবান হচ্ছে। তারা একেকজন তিন চারটা ফ্যাক্টরি দিচ্ছে কিন্তু আমাদের কিছুই হচ্ছে না। আর আমরা যে আয় করি সেটা দিয়ে পরিবার নিয়ে চলতেই হিমসিম খেতে হয়।
তামাই গ্রামের তাঁত মালিক মনিরুলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে কাঠের তাঁত ছিল। বর্তমানে পাওয়ারলুম স্থাপন করেছি। তিনি আরো বলেন, শব্দ দূষণ হচ্ছে জেনেও বাপ দাদার এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। শব্দ দূষণ বায়ু দূষণ পানি দূষণের বিষয়ে আমরা এত কিছু জানি না। আশপাশের মানুষের সমস্যা হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যান। স্থানীয়রা বলেন, তাঁত শিল্প আমাদের একটি ঐতিহ্য। আমরা চাই এই শিল্পের আরো উন্নতি হোক। কিন্তু বর্তমানে যে যার মতো এই শিল্প গড়ে তুলে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও সরকারি কোনো নীতিমালা না থাকায় দিনের পর দিন অপরিকল্পিত তাঁত কারখানা স্থাপন করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। সেই সঙ্গে পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণের ফলে শিশুসহ সবাই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সমাজসেবক মো. মহির উদ্দিন বলেন, তাঁত মালিকরা ঋণ সুবিধা থেকে শুরু করে সরকারের দেয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে লাভবান হলেও শ্রমিকরা তার সুফল পাচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ কে এম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, যত্রতত্র কারখানা হওয়ার কারণে আমাদের এখানে শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ ও পানি দূষণ হচ্ছে। যার ফলে কারখানাগুলোর আশপাশের মানুষ ও যারা কাজ করে তাদের শ্রবণশক্তি কমে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়