বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর স্বীকারোক্তি

আগের সংবাদ

বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা : কী করছেন কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

শিবালয়ে ধর্ষিত শিশুর সন্তান প্রসব : ষাটোর্ধ্ব বয়সি আসামি পলাতক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : শিবালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া এক ছাত্রী (১২) ধাটোর্ধ্ব বয়সি এক ব্যক্তির ধর্ষণের শিকার হয়ে সন্তান প্রসব করেছে। স্থানীয়রা জানান, ধর্ষিতার দরিদ্র পরিবার প্রথম লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে ওই মেয়ের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তার পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান, সে গর্ভবতী। এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শিবালয় থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। গত ৭ ডিসেম্বর ধর্ষিতা মেয়েটি কন্যাশিশু প্রসব করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, কিশোরী মেয়েটিকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গত ১২ সেপ্টেম্বর শিবালয় থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১০ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আব্দুল হালিম পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া নাবালিকা ছাত্রীকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়। অভিযুক্ত শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের ভাকলা গ্রামের মৃত শের আলীর ছেলে।
ধর্ষিতার পিতা এ প্রতিবেদককে বলেন, আব্দুল হালিম (৬৫) নামের এক চরিত্রহীন লোক আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই।
অভিযুক্ত আব্দুল হালিমের স্ত্রী ফুলবুরু (৬০) বলেন, ঘটনার পর ওই মেয়ের আত্মীয়স্বজন আমার স্বামীকে মানিকগঞ্জের সেওতা এলাকায় আটক করে রেখেছিল। তখন মেয়ের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে আনি। পরদিন থেকেই আমার স্বামী নিরুদ্দেশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবালয় থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. হাবিবুর রহমান খন্দকার বলেন, আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারিনি। শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য এখন ঢাকা আছি। কবে নাগাদ এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিআইডি ভালো বলতে পারবে।
মামলার এজাহারের কপি চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো কপি দিতে পারব না। প্রয়োজন হলে জিআরও থেকে কপি সংগ্রহ করুন।
শিবালয় থানার ওসি শাহানুর এ আলম ভোরের কাগজকে বলেন, আসামি মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় আমরা এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে, আশা করছি অতি দ্রুত আমরা তাকে আটক করতে সক্ষম হব। আমরা শিশুটির ডিএনএ রিপোর্ট সংরক্ষণে রাখব।
অভিযুক্ত আটক হলেই তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়