বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর স্বীকারোক্তি

আগের সংবাদ

বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা : কী করছেন কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

কাউনিয়ায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌতম সরকার, কাউনিয়া (রংপুর) থেকে : কাউনিয়ার বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ম নীতি ও সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস। এসব বিক্রেতার নেই কোনো বিস্ফোরক লাইসেন্স। নিয়ম অনুযায়ী এলপি গ্যাস ব্যবহার বিপনন ও বাজারজাত করতে হলে ব্যবসায়ীকে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করার কথা থাকলেও কেউ তা মানছে না। পান দোকান থেকে শুরু করে কাপড়ের দোকান পর্যন্ত পাওয়া যায় গ্যাম সিলিন্ডার। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার সারাই বাজার, হক বাজার, দরদী বাজার, মেনাজ বাজার, জয়বাংলা বাজার, খানসামা হাট, হারাগাছ বকুলতলা বাজার, মীরবাগ বাজার, সিঙ্গারকুড়া, বড়ুয়াহাট, তকিপল হাট, কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ড, কালিরহাট, টেপামধুপুর হাট, বুড়িরহাট, ভায়ারহাট এলাকায় ব্যবসায়ীরা রাস্তার উপর যত্রতত্র সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন গ্যাস সিলিন্ডার। মুদি, পান দোকান, ইলেকট্রোনিক্স, মোবাইল, হার্ডওয়ার, টিনের দোকান, স্টেশনারীসহ বিভিন্ন দোকানের সামনে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অরক্ষিত অবস্থায় গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার মজুত করে বিক্রি করা হচ্ছে সর্বত্রই। শুধু উপজেলা সদর বা পৌর শহরেই নয় বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। উপজেলা ও পৌর শহরের আবাসিক এলাকায় গোডাউনে মজুত করে রাখা হয়েছে এলপি গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর নেই এলপি গ্যাস বিক্রির লাইসেন্স। নেই অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার। এতে যে কোন মুহূর্তে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যত্রতত্র এসব ব্যবসা বন্ধের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, লাইসেন্স ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির কোনো নিয়ম নেই, যারা বিক্রি করছেন তারা অবৈধভাবে বিক্রি করছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা তবুও বন্ধ হচ্ছে না গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উলফৎ আরা বেগম বলেন, প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে অবৈধ ব্যবসা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়