উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি

আগের সংবাদ

মন্দা মোকাবিলায় দুই চ্যালেঞ্জ : ডলারের দাম যৌক্তিক জায়গায় রাখা > মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা

পরের সংবাদ

নিতাইগঞ্জে আটা ও ময়দার দাম কমেছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে আটা-ময়দার বাজারদরে নি¤œমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে গমের সরবরাহ বৃদ্ধি দাম কমার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। তবে দাম কমলেও তা ক্রেতাদের জন্য অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন তারা। ফলে এখনো আটা-ময়দার বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করছে।
এক মাসের ব্যবধানে (৫০ কেজির বস্তা) ১৫০-২০০ টাকা কমেছে আটা-ময়দার দাম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে ভালো মানের আটা বিক্রি হচ্ছে (৫০ কেজির বস্তা) ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে, যা এক মাস আগেও ছিল ২ হাজার ৮৫০ টাকা দরে। সে হিসাবে দাম কমেছে ১৫০ টাকা। আর কেজিতে কমেছে ৩ টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা দরে, যা আগে ছিল ৫৭ টাকা।
ভালো মানের ময়দা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে (৫০ কেজির বস্তা) ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে, যা এক মাস আগে ছিল ৩ হাজার টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ২০০ টাকা। কেজিপ্রতি ময়দা বেচাকেনা হচ্ছে ৫৬ টাকা দরে, যা কিছুদিন আগে ছিল ৬০ টাকা কেজি। সে হিসাবে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৪ টাকা।
বাজারে ইউক্রেনের লাল গম বেচাকেনা হচ্ছে ১ হাজার ৮৮০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায়, যা কিছুদিন আগে ছিল মণপ্রতি ২ হাজার টাকা দরে। কানাডার গম বেচাকেনা হচ্ছে মণপ্রতি ১ হাজার ৯৮০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা, যা আগে ছিল ২ হাজার ১০০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ১০০-১৫০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাজারে গমের দাম দু-তিন গুণ বেড়ে যায়। গমের দাম বাড়ায় বাড়তে শুরু করে আটা-ময়দারও। পরবর্তী সময়ে দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি ও বিশ্ববাজারে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হলে আটা-ময়দার দাম নি¤œমুখী হতে শুরু করে।
ব্যবসায়ীরা জানান, নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে দেশের এক-তৃতীয়াংশ জেলায় আগে আটা-ময়দা সরবরাহ করা হতো। কিন্তু করোনা মহামারি, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা, ডলার সংকট নিতাইগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্যকে ব্যাহত করেছে। বড় মিলগুলো আটা-ময়দা উৎপাদন ও বিপণন করায় নিতাইগঞ্জের ছোট মিলগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। এ কারণে অনেক মিল বন্ধ হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ী সালাম বলেন, এক মাসের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি দাম কমেছে ১৫০-২০০ টাকা। পাইকারি বাজারে আটা বেচাকেনা হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজি আর ময়দা ৫৬ টাকা। দাম কমলেও এটি সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বেশি। এ কারণে বিক্রি কম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়