বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই

আগের সংবাদ

দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত : উত্তররাঞ্চলের কয়েক জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ > জনজীবন বিপর্যস্ত > বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই

পরের সংবাদ

রূপ বদলেছে মহম্মদপুরের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে মহম্মদপুর উপজেলা সদর। প্রতিনিয়ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ, রাজা সিতারাম রায়ের কাচারি বাড়ি, ঘোপ বাঁওড় ও মধুমতি নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতু যেন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নানা শ্রেণিপেশার মানুষ মনের খোরাক জোগাতে ছুটে আসেন এসব দর্শনীয় স্থানে।
দেখা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে প্রতিনিয়ত নিজস্ব প্রাইভেটকার বা মটরসাইকেল, ইজিবাইক ও অটোরিকসাযোগে আসছে নানা শ্রেণিপেশার লোকজন। পারিবারিক সময় কাটাতে এবং শিশুদের বিনোদনের কথা চিন্তা করেই উপজেলার এই মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন তারা।
দৃষ্টিনন্দন মনলোভা নান্দনিক এই সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের প্রচেষ্টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বর ও সেখানে পানির ফোয়ারা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও রাজা সিতারাম রায়ের কাচারি বাড়িসহ দোল খোলায় বালু দিয়ে ভরাট করে মনোরম পরিবেশে রূপ দেয়া হয়েছে। দোল খোলা এলাকার শিশু, কিশোর-কিশোরীরা বিকালে সময় কাটানোর জন্য খেলার মাঠ হিসেবে পেয়েছে এটি। মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বর ও রাজা সিতারাম রায়ের কাচারি বাড়ি চত্বর জুড়ে সবুজের সমারোহ। এই সব ঝকঝকে, তকতকে চত্বরজুড়ে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী নানা প্রকার গাছ। এছাড়াও ঘোপ বাওড়, মধুমতি নদীর দুই পাড় এবং শেখ হাসিনা সেতুতে বিকেল হলেই দেখা যায় শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড়। তরুণ-তরুণী, বন্ধুবান্ধব মিলে অনেকেই ঘুরতে আসেন এখানে। তবে বিশেষ কোনো দিনে ভিড় একটু বেশি দেখা যায়। এর সবই সম্ভব হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায়। উপজেলা প্রশাসন জাঙ্গালিয়া মৌজার ১নং খতিয়ানে ২০ একর খাস জমি এবং মুগল আমলের শেরশাহ্ গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড দখলমুক্ত করেছেন। এসবই ছিল এলাকার মানুষের দখলে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে আশ্রায়ণ প্রকল্প। যেখানে বসবাস করছে ৬৬টি ভূমিহীন পরিবার। বাকি খাস জমিতে বাস টার্মিনাল এবং এলাকার মানুষের বিনোদনের জন্য ডিসি পার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে চলছে।
এছাড়াও নবগঙ্গা নদীর তীরবর্তী নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা এলাকায় ১৩ একর খাস জমি দখলমুক্ত করে চাষ উপযোগী করা হয়েছে। সেখানে বাদামসহ নানা প্রকার ফসলের চাষ শুরু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, সরকারি সম্পদ রক্ষনাবেক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এটা করে কিছু কৃষি জমি তৈরি করা হয়েছে এবং সর্বসাধারণের বিনোদনের জন্য সৌন্দর্য্য করে গড়ে তোলা হয়েছে উপজেলা পরিষদের মধ্যে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরসহ ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো। দৃষ্টিনন্দন এই সৌন্দর্য্য দেখতে প্রতিনিয়ত লোকজন আসে এটা ভালো লাগে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়