রাজধানীর বাজারদর : সবজিতে স্বস্তি মাছ-ডিমের দাম অপরিবর্তিত

আগের সংবাদ

বই সংকটে উৎসবে ছন্দপতন : শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয় একটি-দুটি অথবা গতবছরের বই > ফেব্রুয়ারির আগে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না

পরের সংবাদ

শীত যাক, ফ্যাশন থাক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শীতে চাই ওম তবে তা ট্রেন্ডকে উপেক্ষা করে নয়। তাই প্রতিদিনকার স্ট্রিট ওয়্যার হিসাবে কী পরা যায় এই শীতে, ভাবছেন? এই বছরটায়ও করোনার প্রকোপে নারী-পুরুষনির্বিশেষ ঘরে-বাইরে এক করে ফেলেছে পোশাকে। ট্র্যাক স্যুট, অ্যাথলেজারই সবাই পরেছে আর পরছেও। ফলে বেশে কমেছে ডেনিমের বিক্রিবাট্টা। তবু এই শীতে পুরুষের ট্রেন্ডে রয়েছে জিনস, হুডি, জ্যাকেট বা এক রঙা সোয়েটারের বেশ চাহিদা। ক্রেতার একটি বড় অংশই হচ্ছে আজকালকার তরুণ; বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থী। সুতরাং তাদের চাহিদা নতুন ট্রেন্ডি পোশাক। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই শীতের ক্যাজুয়াল লুকের ডিজাইনগুলো করা হচ্ছে। প্রাধান্য পাচ্ছে ফিউশন।

নাজমুল হক ইমন

ঝুপ করে সন্ধ্যা নামার মত পৌষের শীত পরশ বোলাতে শুরু করেছে। যতই বলি শহুরে জীবনযাপনে শীতের তেমন ঠাঁই নেই। ‘তেমন’ অব্যয়টি কিন্তু মাঝে থেকেই যায়। পাশাপাশি শীত যে জাঁকিয়ে পড়বে না, তার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই। দেশের অনেক স্থানেই এখন আছে তীব্র হাড় কাঁপানো শীত। সুতরাং শীতের পোশাককে হতে হবে ওমদায়ক। পাতলা ফিনফিনে তন্তু কিন্তু এ সময় ব্যবহারের একেবারেই অনুপযোগী। সুতি, নীট এবং ফ্লানেলের মত ফেব্রিকের কদর শীতের বাজারে একটু বেশিই। ফেব্রিক এবং ডিজাইন সব হয়ে যায় মনমতো। তবে স্টাইল স্টেটমেন্ট বজায় রাখতে গিয়ে ফেব্রিক যদি একটু কম উষ্ণ হয় কাজে দেবে লেয়ারিং। লেয়ারিং কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই ট্রেন্ডে আছে। পাতলা থেকে ধীরে ধীরে ভারী পোশাকের দিকে যাওয়ার স্টাইলকেই বলা হয় লেয়ারিং। সোজা বাংলায় বলতে গেলে একটি পোশাকের ওপর কয়েকটি পোশাকের আস্তর।

ট্রেন্ডসেটারদের ভাষ্য, শীত কমই হোক আর বেশি, ছেলেদের মধ্যে চামড়ার জ্যাকেট/ পিউ লেদার পরার ট্রেন্ড লক্ষ করা যায়। এটা সবাই যে পরে, তাও নয়। তবে এই শীতে কিন্তু পিউ লেদার ইনট্রেন্ড। নানা ধরনের কাট আর প্যাটার্নের লেদার ট্রাউজার, কোট, ট্রেঞ্চকোট, জ্যাকেট বেশ চলবে। এগুলো কোনোটা রেগুলার ফিট, আবার কোনোটা স্লিম ফিট।

আস্তে আস্তে টাইটফিট পোশাক থেকে সরে আসছে বিশ্ব। এবারের শীতে সেটা পুনরায় দৃশ্যমান হবে। এমনকি যথেষ্ট ঢিলেঢালা বা ওভারসাইজড পোশাক এই শীতে থাকবে বিশেষভাবে। অনেকেরই হয়তো মনে পড়ে যাবে আশির দশকের কথা। তখন বেশ ঢিলেঢালা পোশাক পরা হতো। ফ্যাশনের আবর্তনে আবার ফিরছে অতীত স্মৃতি সজীব করতে।

ট্রেন্ডি পোশাকে আজকের তরুণ
পাঞ্জাবির সঙ্গে চাদর জড়িয়ে এই সময় রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো তরুণের কথা তার বইয়ে তুলে ধরেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তবু আজকাল এমন তরুণ খুঁজে পাওয়া বড়ই বিরল। হাল ফ্যাশনের অংশ হতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন এ যুগের তরুণরা।
তাদের শীত পোশাকের তালিকায় রয়েছে- হুডি, সোয়েট শার্ট, টার্টেল নেক, জ্যাকেট, ফুল হাতা টি-শার্টসহ আরও অনেক কিছু। শীতের সন্ধ্যায় বা রাতে প্রায়ই থাকছে বিয়ের নিমন্ত্রণ থেকে শুরু করে করপোরেট অফিসের পার্টি। যেতে হচ্ছে সেখানেও।

ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে যার কথা না বললেই নয়, এমন একটি পোশাক হচ্ছে পিউ লেদার জ্যাকেট। সেমি-ফরমাল লুক এনে দিতে লেদার জ্যাকেটের জুড়ি নেই। বেশ আরামদায়কও বটে। দেখতেও লাগে স্টাইলিশ। তাই চটজলদি ট্রেন্ডি লুক আনতে অনেকেই টি-শার্ট কিংবা টার্টেল নেকের ওপর পরে নেন লেদার জ্যাকেট। রঙের ক্ষেত্রে রয়েছে কালো, বাদামি, হালকা বাদামি, রেড ওয়াইন, জলপাই এবং খাকির মতো রং। ডেনিম জ্যাকেট খুবই জনপ্রিয় এবং স্ট্রিট স্টাইলের অংশ।
ডেনিমের জিন্স এবং রিপড জিন্স তো তরুণরা পরেই থাকেন সব ঋতুতে; শীতের জন্য রয়েছে ডেনিম ওয়াশ জ্যাকেট।
পরিশেষ
মোটকথা, শীতে নিজেকে পরিপাটি রাখার জন্য চাই পছন্দের সমকালীন ধারার শীত পোশাক। আনুষ্ঠানিক পোশাক কর্মক্ষেত্রনির্ভর হলেও এটি এখন দৈনন্দিন পোশাকে রূপ নিয়েছে। দিন বা রাত যখনই হোক আনুষ্ঠানিক বা ক্যাজুয়াল শীত পোশাকই ফুটিয়ে তুলবে আপনার ব্যক্তিত্ব।
তাই গতবছরের কিছু থাকলে এখনই বের করে ফেলা যেতে পারে। কারণ, ট্রেন্ডে থাকতে গেলে সেই মত পোশাক তো পরতে হবে। অতএব এখনই ঠিক করে নিন, পোশাক-আশাকে কীভাবে উপভোগ করবেন এবারের শীত।

পোশাক : ইজি
মডেল : নিহাব, নাহিদ ও রেহান
আলোকচিত্রী : আকিব রায়হান

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়