রাজধানীর বাজারদর : সবজিতে স্বস্তি মাছ-ডিমের দাম অপরিবর্তিত

আগের সংবাদ

বই সংকটে উৎসবে ছন্দপতন : শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয় একটি-দুটি অথবা গতবছরের বই > ফেব্রুয়ারির আগে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না

পরের সংবাদ

দুদিন সূর্যের দেখা মেলেনি : শৈত্যপ্রবাহের কারণে ভেড়ামারায় বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জীবন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) থেকে : সারা দেশের মতো কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায়ও জেঁকে বসেছে শীত। ঠাণ্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবন। ঘন কুয়াশার কারণে গত দুদিন এখানে সূর্যের তেমন দেখা মেলেনি। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না।
শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খোঁজার চেষ্টা করছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মানুষ। মৌসুমের শুরুতে শীতের তেমন প্রকোপ না থাকলেও, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে হিমালয় থেকে আসা শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বেকায়দায় ভেড়ামারার খেটে খাওয়া মানুষ। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। গত দুদিন ধরে ভেড়ামারায় কনকনে হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের দাপটে শীতে জবুথুবু পুরো উপজেলাবাসী।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার উপজেলাগুলোর জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী, নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষ। রিকশাচালক নবীর উদ্দীন বলেন, শীতের কারণে গত ২দিন ধরে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিরূপ আবহাওয়ায় লোকজন কম বের হওয়ায় তেমন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। তাই দৈনিক আয়ও কমে গেছে।
উপজেলার কৃষিশ্রমিক আজমুল হক বলেন, তীব্র শীতে হাত-পা জমে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে মাঠে থাকাটাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
ক্ষেমিরদিয়াড় মাঠকর্মী রুকসানা আক্তারের ভাষ্যমতে, ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে ক্রমাগত ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করায় কাঁথা-কম্বল দিয়েও শীত মানানো যাচ্ছে না। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। মানুষ ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সোনিয়া ঘোষ বলেন, হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে থাকা শয্যার তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও দৈনিক শীতজনিত অসুস্থতা নিয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগেও রোগীর অতিরিক্ত চাপ দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে রেল স্টেশনসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। শীতার্ত মানুষগুলো এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য তাকিয়ে আছে সরকার ও বিত্তবান মানুষের দিকে। এদিকে হরেক রকমের শীতবস্ত্রের পসরা নিয়ে রেললাইনের ধারে, স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে ও বাজারগুলোতে বসেছে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে শীতবস্ত্রের দাম বেশি হওয়ায় অভাবী লোকগুলো কিনতে পারছে না তাদের প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র। তীব্র শীতের কারণে ভেড়ামারায় শীতবস্ত্র বিতরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এভাবে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে মানুষের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়