জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি : ডা. এস এ মালেকের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি

আগের সংবাদ

পল্টন ছেড়ে গোলাপবাগে বিএনপি : বিকাল থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের অবস্থান, রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

১৪ দলের বৈঠক শেষে আমির হোসেন আমু : রাজপথে নাশকতা মেনে নেয়া হবে না

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কিংবা কোনো ধরনের নাশকতা মেনে নেয়া হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের নিজ বাসভবনে ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলো সরব হবে দেশব্যাপী। আগামী ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর আলোচনা সভা করবে ১৪ দল। এরপর বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করবে। আগামী বছর জানুয়ারি থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভা করবে ১৪ দল। দেশের সব জেলা-উপজেলায় ১৪ দলীয় জোটের কর্মসূচি জোরদার করারও সিদ্ধান্ত হয়।
জোট সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের শীর্ষ নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল ইসলাম রুবেল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এডভোকেট এস কে সিকদার, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খানসহ ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।
আমির হোসেন আমু বলেন, মানুষের অসহায়ত্বকে পুজি করে গণতন্ত্র এবং ভোটের দাবির পেছনে বিএনপির মূল লক্ষ্য দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও সংবিধানে আঘাত করা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা নষ্ট করার জন্যই তারা দেশে অরাজকতা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের সাংবিধানিক শূন্যতা ও রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টির জন্যই বিএনপি রাজপথে নৃশংসতার পথ বেছে নিয়েছে। ১৪ দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধেই আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আমু আরো বলেন, বৈশ্বিক সংকটে সৃষ্ট দেশের সব সমস্যা ১৪ দল একসঙ্গে মোকাবিলা করবে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে ১৪ দল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়