প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

১৭২ দেশে শ্রমবাজার : রেমিট্যান্স কমছে যে কারণে

পরের সংবাদ

সড়কের বেহাল দশা, দুই লাখ মানুষ ভোগান্তিতে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর-জামালগঞ্জ সড়কের সংস্কার কাজ থেমে আছে প্রায় দুই বছর ধরে। সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় সাম্প্রতিক বন্যায় সড়কটির ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। এখন এ সড়ক দিয়ে যান চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি খানাখন্দ ও গর্তে ভরপুর হয়ে যাওয়ায় এখন বিকল্প পথে যাতায়াত করছেন জেলার চার উপজেলা ধরমপাশা, জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর থেকে জামালগঞ্জের মান্নানঘাট পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে। এই সড়কের কাঠইর থেকে জয়নগর পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার অংশ রয়েছে। এর মধ্যে ১০ কিলোমিটার অংশ গত কয়েক বছর ধরে বেহাল অবস্থায় আছে। গত অর্থবছরে সেখানে কাজ শুরু হলেও এখনো তা শেষ হয়নি। এর মধ্যে গত জুন মাসের ভয়াবহ বন্যায় এ অংশের অন্তত সাত কিলোমিটার সড়ক ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এখন এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। ফলে চারটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজন এখন এ সড়ক এড়িয়ে সাচনা-সুনামগঞ্জ, ভিমখালি-নোয়াখালী সড়ক হয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে সুনামগঞ্জ জেলা সদরে যাতায়াত করে।
এদিকে প্রায় দুবছর অতিবাহিত হলেও ওই ১০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ কাজ শেষ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা অবিলম্বে সড়কের সংস্কারকাজ শেষ করে জনদুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।
মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, গত বন্যায় জয়নগর থেকে হোসেননগর পর্যন্ত সড়কের বেশিরভাগ জায়গায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আর এ সড়কটি যান চলাচলের উপযুক্ত নয়। এছাড়া গত দুবছর ধরে সংস্কার কাজ শুরু হলেও এখনো কাজ শেষ হচ্ছে না। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট বুরহান উদ্দিন বলেন, ওই সড়কটি দিয়ে কয়েকটি উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে। দ্রুতগতিতে সংস্কারকাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি জোড় দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সড়কে সংস্কারকাজ চলার সময় বন্যা আসায় ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়েছে। এ সড়কসহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য সড়ক সংস্কারে সরকার প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। শিগগিরই এ সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম ভোরের কাগজকে বলেন, গত জুনের ভয়াবহ বন্যায় এলজিইডির গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কগুলো সংস্কারে কাজ চলছে। আর বন্যায় যে এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা প্রথাগত সংস্কার না করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে কজওয়ে করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়