প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল ১৪ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

১৭২ দেশে শ্রমবাজার : রেমিট্যান্স কমছে যে কারণে

পরের সংবাদ

ভূমি কর্মকর্তা না থাকায় জমি মালিকদের ভোগান্তি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা না থাকায় জমির খাজনা দেয়া, জমি খারিজ ও খতিয়ান উত্তোলন করাসহ জমি সংক্রান্ত সেবা পেতে ইউনিয়নবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রায় তিন মাস ধরে অফিসে আসছেন না ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আমির হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে ভূমি অফিসের প্রায় অর্ধ লাখ টাকাসহ স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে জমির কাগজপত্র ঠিক করে দেয়ার আশ্বাসে আরো প্রায় চার লাখ টাকা নিয়ে অফিসে আসা বন্ধ করে দেন আমির হোসেন। এতে প্রায় তিন মাস ধরে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে ভূমি সংক্রান্ত সেবা পাচ্ছেন না জমির মালিকরা। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমির হোসেনকে কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হয়েছে। তিনি সেই নোটিসের জবাব না দিয়ে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন।
আরো জানা যায়, আমির হোসেনের বিরুদ্ধে তার আগের কর্মস্থলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি বিভাগীয় মামলা হয়েছিল। এতে তাকে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পদ থেকে পদাবনতি করে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা করে ভূরুঙ্গামারীর পাথরডুবি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিযুক্ত করা হয়।
পাথরডুবি ইউনিয়নের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, জমি খারিজ করতে প্রায় নয় মাস আগে তহশিলদারকে (ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা) ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। খারিজের খবর নেই। তিন মাস ধরে তিনি অফিসেই আসছেন না।
আবুল কাশেম বলেন, পাঁচ মাস আগে জমি খারিজ করতে তহশিলদারকে টাকাপয়সা দিয়েছি। তহশীলদার না থাকায় খারিজ আটকে রয়েছে।
ইসমাইল হোসেন বলেন, খাজনা দিতে এসেছি। অফিস বন্ধ থাকায় খাজনা দিতে পারলাম না।
পাথরডুবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর জানান, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা না থাকায় ইউনিয়নের মানুষকে প্রায় তিন মাস ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখানে দ্রুত একজন কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিদুল ইসলাম প্রশিক্ষণে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, আমির হোসেনকে দুবার শোকজ করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়