নাইক্ষ্যংছড়ি : ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় মামলা

আগের সংবাদ

তিন কারণে ভালো ফলাফল : সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নপত্রে সুবিধা ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের প্রভাবে পাসের হার বেড়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায়

পরের সংবাদ

সালাম মুর্শেদীর বাড়ি দখল > দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না : হাইকোর্ট

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখল করা রাজধানীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে কোনো দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বাড়ি সংক্রান্ত সব নথিপত্র আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাখিল করতে রাজউক ও গণপূর্তকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
এর আগে সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা বাড়ির নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার তিনি নথিপত্র দাখিলের পর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। অন্যদিকে গুলশানের বাড়ি দখলে নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করে রাষ্ট্রপক্ষ। তাই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান ও রাজউকের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সিইএন (ডি)-২৭-এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে আছেন। এ বিষয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে ৩ চিঠি দিয়েছিল। চিঠি দেয়ার পরও পরিত্যক্ত বাড়িটি সালাম মুর্শেদী কীভাবে দখল করে আছেন, রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে সেই ব্যাখ্যা চেয়েছিল পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেয়ায় গত ৪ জুলাই আরেকটি চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে নামজারি ও দলিল সম্পাদন করার অনুমতি দেয়া হয়, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। অদ্যাবধি এর জবাব পাওয়া যায়নি। পরে এই অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। হাইকোর্টও এই বিষয়ে নথি তলবের পাশাপাশি রুল জারি করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়