নাইক্ষ্যংছড়ি : ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় মামলা

আগের সংবাদ

তিন কারণে ভালো ফলাফল : সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নপত্রে সুবিধা ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের প্রভাবে পাসের হার বেড়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায়

পরের সংবাদ

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ : বাঁশখালীতে মামলায় ১৪ জন কারাগারে, জাফরুল ইসলামকে আব্যাহতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বাঁশখালী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিন মামলায় সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দিয়ে এসব মামলার ১৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার বিকালে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞা এ আদেশ দিয়েছেন। গত ৮ নভেম্বর মারা যান বাঁশখালীর বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, কারাগারে পাঠানো ১৪ আসামি হলেন- মো. দিদার, ইফতেখার হোসেন দুলাল, টিংকু দে, রিদওয়ান হোসেন সুমন, আনসার, দেলোয়ার, মঈনউদ্দিন, তমিজ, ফোরকান, আনোয়ার, জমির উদ্দিন, আবছার এবং জামাল। এরা বাঁশখালীর স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল আলম বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ তিন মামলার ৪৬ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত ৩২ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। ১৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
গত ২৬ আগস্ট বিকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম গুণাগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। আহতদের মধ্যে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ও বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) প্রায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় বাঁশখালী থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তা বাদী হয়ে বিএনপির প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বর্তমান আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্য কাজে বাধাদানের অভিযোগে উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় এসআই গোলাম মোস্তাফা বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে এসআই মো. শহীদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়