মোজাম্মেল-প্রণয় সাক্ষাৎ : কলকাতার থিয়েটার রোডের সেই বাড়িটি চেয়েছে বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

কাদের সঙ্গে ডায়লগ করব? মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

পরের সংবাদ

সুনামগঞ্জে বন্যার ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কৃষকরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : গত জুন মাসে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সুনামগঞ্জবাসী। সেই ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জেলার হাওরাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকরা। চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলনে খুশি তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, পহেলা অগ্রহায়ণ থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ধান কাটার উৎসব শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় এক হাজার ১০০ হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়ে গেছে। আমনের বাম্পার ফলনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
জেলায় এ বছর আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮১ হাজার ১০০ হেক্টর। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় ৮২ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১১৫ হেক্টর বেশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার বিশ্বম্ভরপুরে আট হাজার ৭৫৫ হেক্টর, তাহিরপুরে ছয় হাজার ৩৩৫ হেক্টর, জামালগঞ্জে চার হাজার ৫৪৫ হেক্টর, ধর্মপাশায় চার হাজার ৫৭০ হেক্টর, সুনামগঞ্জ সদরে ১১ হাজার ৬১০ হেক্টর, শান্তিগঞ্জে চার হাজার ২১০ হেক্টর, ছাতকে ১২ হাজার ৯৫৫ হেক্টর, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৪ হাজার ৬২৫ হেক্টর, জগন্নাথপুরে ৯ হাজার ৫৫৫ হেক্টর, দিরাইয়ে দুই হাজার ২২৫ হেক্টর ও শাল্লায় দুই হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।
সরজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাওরে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্তজোড়া মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে পাকা ধান। কিছু কিছু জমিতে ধান কাটছে কৃষকরা। কাটা সেই ধান আঁটি বেঁধে মাথায় করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে কেউ কেউ। যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার কৃষক সমীরণ দাস বলেন, ‘এবারের বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে কয়েকবছর সময় লাগবে। তবুও আমনের বাম্পার ফলনে আমাদের দুঃখ কিছুটা হলেও ঘুচবে।’
ধরমপাশা উপজেলার কৃষক নুর জামাল বলেন, ‘বন্যায় ঘরবাড়ি ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এরপর খুব চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব। পরে ঋণ, ধার-দেনা করে আমন চাষ করেছিলাম। জমিতে ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা।’
তাহিরপুরের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘গেল দু’বছরের চেয়ে এবার আমনের ফলন বেশি হয়েছে। বন্যার পর অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করেছি। ফলন দেখে মনে হচ্ছে এবার সেই কষ্ট কিছুটা হলেও ঘুচবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম ভোরের কাগজকে জানান, কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসায় এবার সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় এক হাজার ১০০ হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়