মোজাম্মেল-প্রণয় সাক্ষাৎ : কলকাতার থিয়েটার রোডের সেই বাড়িটি চেয়েছে বাংলাদেশ

আগের সংবাদ

কাদের সঙ্গে ডায়লগ করব? মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

পরের সংবাদ

রিমান্ডে ৫ আসামি : দোহার থানা বিএনপি সভাপতিসহ ৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দোহার থানা বিএনপির সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজসহ ৬৫ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ৫ আসামির একদিনের রিমান্ড ও ৬ জনকে একদিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার দোহার থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) হাচান আলী শেখ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শুক্রবার আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে দোহার থানা পুলিশ। এ সময় আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, ঢাকায় সম্মেলনের আগে এটা একটি গায়েবি মামলা। আমরা মামলার নথি পর্যন্ত দেখতে পারিনি। আসামিরা অনেকে বৃদ্ধ। তাদের রিমান্ড বাতিলের অনুরোধ জানাচ্ছি। তবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের জোর দাবি জানানো হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালত আসামি পান্নু মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, মাহবুব শিকদার, ছামাদ ব্যাপারী ও মাহবুবুর রহমান পান্নুকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে বাকি ৬ আসামি তথা- গোলাম কিবরিয়া ব্যাপারী, হারুন মিয়া, রমজান খান, আরিফ হোসেন, লাবলু দেওয়ান ও শিশির মাহমুদকে একদিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদে নিতে আদেশ দেন আদালত। আদালতে দোহার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শওকত হোসেন এ তথ্য জানান।
এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এবং আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলীয় সম্মেলনের জন্য দোহার থানার নবাবগঞ্জ সড়কের করমআলী মোড়ে থানা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এক সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে আসামিরা রাস্তায় ককটেল বোমা মেরে, লাঠিসোটা, ইটের টুকরো ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে এলাকায় ভীতি ছড়ায়। এছাড়া রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ওই সময় জনৈক আরমান খাঁ নামে একজনকে অটো থেকে নামিয়ে মারধর করে আসামিরা। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় অটোতে। এছাড়া রাস্তায় চলাচলকারী কয়েকটি ইজিবাইক ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার ওপর থেকে একটি বিস্ফোরিত ককটেলের তিনটি কৌটা, বাঁশ, লাঠি, ইজিবাইকের ভাঙা গøাস ও আগুনে পোড়া টায়ার দেখতে পান। ওই ঘটনার দিনই পুলিশ বাদী হয়ে দোহার থানায় মামলা করে। গ্রেপ্তার করা হয় ১১ জনকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়