ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন ২ ডিসেম্বর

আগের সংবাদ

ভিত্তিহীন গুজবে ব্যাংকিং খাত > ব্যাংকে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে : বাংলাদেশ ব্যাংক

পরের সংবাদ

সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি : মেলান্দহে ৬ মাস ধরে এসিল্যান্ডের পদ শূন্য

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি : মেলান্দহ উপজেলায় প্রায় ৬ মাস ধরে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) পদটি শূন্য পড়ে রয়েছে। এতে ভূমি অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকার জনগণের। এ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বসবাস। অবিলম্বে পদটি পূরণের দাবি জানিয়েছেন এ উপজেলার ভূমি মালিকেরা।
উপজেলা সহকারী কমিশনারের কার্যালয় সূত্র জানায়, ওই কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে এ বছরের ৫ জুন তৎকালীন এসিল্যান্ড মো. সিরাজুল ইসলাম বদলি হয়ে চলে যান। ৫ মাসেরও বেশি সময় ওই পদ শূন্য থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ওই পদের কাজ করছেন।
উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয়ের সামনে কথা হয় নাংলা ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম নামে একজনের সঙ্গে তিনি বলেন, পাঁচ মাস আগে জমির নামজারি করার জন্য আবেদন করেছি। এখনো পর্যন্ত জমির নামজারি করা হয়নি। উপজেলা ভূমি অফিসে এসেছিলাম বলল স্যার নাই। কয়েকবার অফিসে এসে ঘুরে গিয়েছি বারবার শুধু একটা কথাই বলে যে স্যারের আইডিতে স্যার ছাড়া হবে না। আরো কত দিন লাগবে তাও ঠিক জানি না। রায়হান মন্ডল নামে একজন বলেন, জমির নামজারিদের জন্য আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। নামজারির কারণে জমি বিক্রি করতে পারছেন না। প্রায় ৪ মাস হয়ে গেল আবেদন করেছি। এখনো কোনো খোঁজখবর নাই। অফিসে গেলেই বলে স্যার নাই। নামজারির জন্য জমি বিক্রি করতে পারছি না এর জন্য খুব একটা ভোগান্তিতে রয়েছি।
নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করে কয়েকজন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বলেন, এসিল্যান্ড চলে যাওয়ার পর দুই মাস তেমন কোন কাজ হয়নি। এখনো কিছু ফাইল আটকে আছে। তবে আগে থেকে কাজের গতি কিছুটা বেড়েছে। ভূমিসংক্রান্ত মামলারও নিষ্পত্তি হচ্ছে না।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিঞা জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় উপজেলা নির্বাহীর দায়িত্বের পাশাপাশি নবগঠিত হাজরাবাড়ী পৌরসভার সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমির) অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। এতে কাজের একটু ধীরগতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জনপ্রতিনিধিরা শপথ নিয়ে দায়িত্ব নিলেই এ কাজ আগের মতোই গতিশীলভাবে চলবে।
এ বিষয়ে জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবন্তী রায় বলেন, নতুন এসিল্যান্ড পদায়ন হয়ে যাবে আমরা চেষ্টা করছি। সার্ভারের একটু ধীরগতি ছিল। এখন সার্ভারের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। খুব শিগগিরিই খালি পদগুলো বিশেষ করে এসিল্যান্ডের পদ পূর্ণ হবে। এদিকে উপজেলার সচেতন মহলের দাবি উপজেলার জনগণের ভোগান্তির কখা বিবেচনা করে অতি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ উপজেলায় এসিল্যান্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়োগ দিবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়