অর্থপাচার মামলা : বরকত-রুবেলের আরেক সহযোগী কারাগারে

আগের সংবাদ

আরব্য রজনীর নতুন রূপকথা : সৌদি আরব ২ : আর্জেন্টিনা ১ > মেসিদের প্রত্যাশিত হারে স্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব

পরের সংবাদ

জঙ্গি ছিনতাই : চট্টগ্রামে নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে ৪২ জন জঙ্গি রয়েছে। তাদের অন্য বন্দিদের থেকে সব সময় আলাদা করে রাখা হয়। একই সঙ্গে তারা বিশেষ নজরদারিতে থাকে। তবে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের পর চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় ও কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় অতিরিক্ত ১৪ জন পুলিশ সদস্য মোতায়ান করা হয়। এছাড়া কারাগার থেকে জঙ্গি আনা-নেয়ায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) পংকজ দত্ত বলেন, অন্যান্য সময়ও আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকে। তবে ঢাকার ঘটনার পর চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। যেদিন আদালতে কারাগারে থাকা জঙ্গিদের আনা-নেয়া করা হয়, সেদিন অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন থাকে। তবে এখন থেকে সে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত চেকপোস্ট চলমান রয়েছে। চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনের সময় বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর কারাগার থেকে জঙ্গি আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে আর পিছনে পুলিশের স্কট থাকবে।’
সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশিকিউশন) মো. কামরুল হাসান বলেন, সোমবার সকাল থেকে আদালতে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। আদালতে আগের তুলনায় অতিরিক্ত ১৪ জন বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আদালত এলাকায় দিন-রাতে পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন থাকে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবদুল রশীদ বলেন, জঙ্গিদের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। চট্টগ্রাম কারাগার থেকে জঙ্গি আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর কারাগারে থেকে মোবাইলে কথা বলা যায়, সেখান থেকে জঙ্গিরা মোবাইলে কথা বলে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ আছে। জঙ্গিদের মোবাইলে কথা বলার সুযোগ থাকলে সেটা বন্ধ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে আট জঙ্গিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। পথে পুলিশের মুখে কোনো রাসায়নিক স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই জঙ্গি আসামি মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায় তাদের সহযোগীরা। তাদের ধরিয়ে দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়