কাগজ প্রতিবেদক : খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার দিনমজুর আবুল কালাম ও রুহুল আমিনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার ঘটনায় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনপ্রশাসন সচিব ও খাগড়াছড়ির ডিসিকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। ফলে বিচারিক ক্ষমতা হারাল রামগড়ের ইউএনও। সেই সঙ্গে দিনমজুরদের দেয়া সাজা কেন অবৈধ নয় ও তাদের কেন ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রবিবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, আদালত খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই সংক্রান্ত রুল জারি করেন।
দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘প্রশাসন-বিজিবি বিরোধ : কারাগারে দিনমজুর’ শিরোনামে গত ৫ আগস্ট প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধ চলছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে। আর সেই বিরোধের আগে-পাঁচে না থেকেও কারাগারে যেতে হলো দুই দিনমজুরকে। গত ১ আগস্ট রামগড় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি বিরোধপূর্ণ জায়গায় বেড়া দেয়ার কাজ করতে গেলে ইউএনও খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত ২ জন দিনমজুরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেন। এ সময় তিনি দিনমজুর দুজনকে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। তারা হলেন- অফিস টিলার আবুল কালাম ও দারোগা পাড়ার রুহুল আমিন। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিতে ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ওই দুই দিনমজুরের ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।