কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আগের সংবাদ

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি মনে করালেন মোমেন

পরের সংবাদ

গবেষকদের দাবি : ওষুধে কোলেস্টেরল কমবে ৭০ শতাংশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। আর একবার এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ধরা পড়লে খাওয়া-দাওয়ার লাগাম টেনে ধরতে হয়। তখন কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জীবনযাপনে আনতে হয় নানা পরিবর্তন।
এর পাশাপাশি চিকিৎসা তো নিতেই হয়। অর্থাৎ নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার মধ্যে থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও তারপরও রোগীকে সাবধান থাকতে হয়। কিন্তু স¤প্রতি গবেষকরা এমন ওষুধের খোঁজ দিয়েছেন যা এক নিমেষে ৭০ শতাংশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
গত শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সেল রিপোর্ট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক ওই ওষুধের নাম পিসিএসকে৯। এই ওষুধটি রক্ত থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বের করে নিতে সাহায্য করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি হসপিটালস (ইউএইচ) এবং কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনে পরিচালিত ওই গবেষণায় গবেষকরা পিসিএসকে৯ এর অণুগুলো পরীক্ষা করেন। সেখানেই দেখা যায়, ওই ওষুধে কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল হলো মোম জাতীয় পদার্থ। রক্ত ধমনীর দেয়ালে যখন খারাপ কোলেস্টেরল জমতে থাকে তখন শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ প্রকাশ পায়। পাশাপাশি এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। পশ্চিমা দেশগুলোতে কোলেস্টেরল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, পিসিএসকে৯ ওষুধ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর নতুন উপায়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দু হল এলডিএল রিসেপ্টর, যা লিভার কোষের পৃষ্ঠে থাকে এবং রক্ত থেকে কোলেস্টেরল অপসারণ করে, যার ফলে সিরামের মাত্রা কমে যায়। পিসিএসকে৯ রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
মূলত পিসিএসকে৯ সেই এজেন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে যেটা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ওই ওষুধ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এই ড্রাগের মধ্যে নাইট্রিক অক্সাইড রয়েছে। এই অণু রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে।
তবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে শুধু ওষুধের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে গেলে খাওয়া-দাওয়ার ওপরও বিশেষভাবে যতœ নিতে হয়।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন সব খাবার রাখুন যার মধ্যে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ বেশি।
অন্যদিকে ফাস্ট ফুডের পরিমাণ কমাতে হবে। খাবারে তেলের ব্যবহারও কমাতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়