অমিত শাহের আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজল কাতারে

পরের সংবাদ

বিজ্ঞাপনের জায়ান্ট কোম্পানি হচ্ছে টিকটক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বৈশ্বিক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের তালিকায়
শেষের দিকে যুক্ত হলেও বিভিন্ন বয়সীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে টিকটক। চীনভিত্তিক বাইটডান্সের মালিকানাধীন এ ভিডিও অ্যাপের উত্থান এখন
রীতিমতো অন্যদের মাথাব্যথার কারণ। টিকটকের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ক্রমেই প্রসারিত-
বিপরীতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে টিকটকের ক্রমাগত অগ্রগতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মেটা, স্ন্যাপসহ অন্যান্য বড় প্রতিদ্ব›দ্বী। যেমন গত মাসে নিউইয়র্কভিত্তিক জুয়েলারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড টিফানি তাদের পণ্যের প্রচারণা হিসেবে পপ স্টার বিয়ন্সের একটি ভিডিও পোস্ট করে ইনস্টাগ্রামে। ভিডিওটি ১ দশমিক ৬ মিলিয়নবার দেখা হয়।
এক সপ্তাহ পর টিফানির পক্ষ থেকে অন্য একটি ভিডিও টিকটকে পোস্ট করা হলে তা দেখা হয় ৫ দশমিক ২ মিলিয়নবার। শুরুতে গানের সঙ্গে নাচের ভিডিওর জন্য সর্বাধিক পরিচিত হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের শক্তিশালী প্লাটফর্ম হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে টিকটক। চীনের বাইটডান্সের মালিকানাধীন এ অ্যাপ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাছে সহজে বিজ্ঞাপন দেয়ার সুবিধা ও ক্রমবর্ধমান ইন্টারনেট অ্যাকসেস বিক্রি করে অন্য প্রতিযোগীদের কোণঠাসা করে ফেলছে। চলতি বছর বিজ্ঞাপন বাবদ টিকটক আয় করেছে ১০ হাজার কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। তথ্যটি দিয়েছে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ইনসাইডার ইনটেলিজেন্স।
ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর টুইটার ও স্ন্যাপের বিজ্ঞাপনে বড় ধরনের ভাগ বসাবে এটি। যদিও গুগল ও মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবসার তুলনায় এর পরিসর ছোট। তবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে গুগল, মেটা কিংবা স্ন্যাপের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের পরিমাণ কমলেও বাড়ছে টিকটকের। তাই ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিদ্ব›দ্বীদের কাছ থেকে ব্যবসা হটিয়ে নিয়ে তাদের দুর্দশা বাড়িয়ে দিচ্ছে টিকটক।
সম্প্রতি চীনা মালিকানাধীন টিকটককে তাদের অন্যতম বৃহৎ ও পরিশীলিত প্রতিযোগীদের একটি বলে অভিহিত করে স্ন্যাপচ্যাট। এদিকে তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞাপন বাবদ আয় কমার কথা জানিয়েছে ইউটিউব। টিকটকের ছুড়ে দেয়া প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মেলাতে শর্ট ভার্সন চালু করেছে এটি। মেটাপ্রধান মার্ক জাকারবার্গ গত ফেব্রুয়ারিতে আয়সংক্রান্ত আলোচনার সময় কমপক্ষে পাঁচবার টিকটককে তাদের প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে অভিহিত করেন। টিকটক ঘিরে অবশ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের খানিকটা উদ্বেগও রয়েছে। বিশেষ করে টিকটকের কনটেন্টের গুণমান ও বট ট্রাফিকের (ওয়েবসাইট বা অ্যাপে মানুষ-সংশ্লিষ্ট নয় এমন ট্রাফিক) বিষয় নিয়ে অনেকে সন্দিহান। তবু কোম্পানিগুলো টিকটকে তাদের প্রচারণা চালাতেই মরিয়া। তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ার অনুসারে টিকটক ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন এখানে গড়ে ৯৬ মিনিট সময় ব্যয় করে, যা স্ন্যাপচ্যাটে সময় ব্যয়ের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ, টুইটারের তিন গুণ এবং ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তাদের কাটানো সময়ের প্রায় দ্বিগুণ। টিকটক বিশ্বকে গ্রাস করছে। বিনোদনজগতের একমাত্র বিষয় হলো সময় কাটানো বলেছেন লাইটশেড পার্টনার্সের প্রযুক্তি বিশ্লেষক রিচ গ্রিনফিল্ড। তিনি আরো বলেন, টিকটক শেয়ার নিচ্ছে বলে আপনি যদি এখানে কম সময় ব্যয় করেন তবে তা আপনার বিজ্ঞাপন ব্যবসার জন্য নেতিবাচক।
টিকটক নিয়ে আটলান্টিকের এপার-ওপার যতই আলোচনা হোক না কেন, চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটি মূলত নিজেদের ব্যবসা ও ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতেই মনোযোগী। সমালোচনার ঝড় সত্ত্বেও কিছু অপ্রচলিত পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের বিপরীতে টিকটকের বিজ্ঞাপনগুলো পূর্ণ স্ক্রিন ভিডিওর মতোই প্রদর্শিত হয়। তাই অবিলম্বে বোঝা যায় না যে এগুলো বিজ্ঞাপন কিনা।
তাছাড়া অ্যাপটি ব্র্যান্ডগুলোকে চাপ দিয়েছে টিকটকের কনটেন্ট নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য। এজন্য টিকটকের বিজ্ঞাপনগুলো অনেক বেশি স্বাভাবিক কনটেন্টের মতো মনে হয়। টিকটক বিভিন্ন ব্র্যান্ডকে বলেছে, আপনারা বিজ্ঞাপন তৈরি করবেন না, বরং টিকটক করুন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়