অমিত শাহের আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপের বাঁশি বাজল কাতারে

পরের সংবাদ

অক্টোবরে মাত্র ৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারের এলসি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের রিজার্ভকে সংরক্ষণে পণ্য আমদানিতে নানা শর্তারোপের কারণে এপ্রিল থেকে টানা কমতে কমতে ছয় মাসে অর্ধেকে নেমে এসেছে এলসি খোলার পরিমাণ। চলতি বছরের মার্চে এলসি খোলা হয়েছে ৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারের। এপ্রিলে খোলা হয়েছে ৮ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের এলসি। এরপর থেকে তা কমছেই। সেপ্টেম্বরে এলসি খোলা হয়েছে ৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারের। অক্টোবরে এসে বড় ধরনের পতন হয়েছে। এ মাসে এলসি খোলা হয়েছে ৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারের, যা গত বছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছিল ৭ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে এলসি ওপেনিং কমেছে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৩৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলেন, ব্যাংকগুলোর ডলার সংকট থাকলেও বেশি দামে রেমিট্যান্সে কিনে আমদানি দায় পরিশোধ করত কিন্তু এখন একক রেট হওয়ায় সেই সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অধিকাংশ ব্যাংকের আমদানির পরিমাণ কমে এসেছে। এছাড়া অধিকাংশ ব্যাংকের ডলার সংকট থাকায় আমাদানি এলসি খোলায় মনোযোগ কম বলে উল্লেখ করেন তারা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সংকট কাটাতে নানাভাবে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করেছে। গত এপ্রিল থেকে আমদানিতে শুরু করেছে এলসি মার্জিন।
তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় আমদানি দায় মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে।
বেসরকারি একটি ব্যাংকের ট্রেজারি হেড বলেন, গত জুনের শুরুতে বড় ব্যবসায়িরা আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারলেও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো এলসি খুলতে সমস্যায় পড়েছে। এখন বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও আমদানি এলসি খুলতে সমস্যায় পড়ছে।
প্রথম প্রজন্মের একটি বেসরকারি একটি ব্যাংকের এমডি নাম নাম প্রকাশ না করা শর্তে টিবিএসকে বলেন, দেশের রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কমার কারণে অধিকাংশ ব্যাংকের ডলার সংকট রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০টি ব্যাংকের ফরেন কারেন্সির নেট ওপেন পজিশন নেগেটিভ। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার ব্যাংকে এলসি খোলার তুলনায় ডলার কীভাবে সংরক্ষণ করব সেটা ভাবছি। দেশে গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ রেমিট্যান্স কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্সের গতি কিছুটা বাড়লে গেল (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) মাসে রেমিট্যান্সের ব্যাপক পতন হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, পণ্যের দর বেশি বা কম দেখিয়ে বছরের পর বছর এলসি ওপেনিং হচ্ছে। কমলা, আপেল, খেজুর ও গাড়ি আমদানিতে দাম কম দেখিয়ে আন্ডার ইনভয়েসিং হচ্ছে। এর ফলে দেশ কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া এলসি মূল্য পরিশোধে বিদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে ডলার সংগ্রহ করছে, যার ফলে দেশ রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আরো জানা গেছে, ডলার সংকটের এই সময়ে কিছু আমদানি পণ্যে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং হয়েছে। আর গাড়ি আমদানিতে (১৫০-৮০০) শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক থাকায় গাড়ি আমদানিকারকরা এর সুযোগ বেশি নিতে পারে। যে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার আসছে কম।
এদিকে আমদানি কমলেও ডলারের সংকট কাটছে না। গত অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। চলতি অর্থবছরে ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে কিছুটা কার্পণ্য করলেও সরকারি আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলার বিক্রি বেড়েই যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের (জুলাই-১৬ নভেম্বর পর্যন্ত) ডলার বিক্রি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়