নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : ফতুল্লায় কিশোরী হত্যা মামলার রায়ে স্বপন গাজী (৩৬) ও তার স্ত্রী আখি আক্তার তমা (৩০) দম্পতিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ৩ মাস করে কারাদণ্ড ভোগের রায় দেয়া হয়।
একই মামলায় অবৈধভাবে দেহ ব্যবসার আরেকটি আইনে ওই দম্পত্তিকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত স্বপন গাজী (৩৬) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার পাঁচদনীয়া গাজী বাড়ির আব্দুল মজিদ ওরফে মান্নানের ছেলে। তিনি ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় পাইলট স্কুল সংলগ্ন রাসেল মিয়ার বাড়িতে স্ত্রী আখি আক্তার তমাকে (৩০) নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
মামলার বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় বাড়িওয়ালা রাসেল ও তার স্ত্রী সাবিনা কান্নাকাটির শব্দ শুনে ভাড়াটিয়া স্বপন গাজীর রুমে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন স্বপন ও তার স্ত্রী আখি কান্নাকাটি করছে। তাদের কথাবার্তা সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে জানতে পারেন ভায়রার মেয়ে পরিচয় দেয়া মর্জিনা আক্তারকে (১৬) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বপন। এ হত্যায় সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী আখি। এ সময় পুলিশ তাদের ঘর থেকে নূর জাহান ও নূরুন্নাহার নামে আরো দুজন তরুণীকে উদ্ধার করে। স্বপন গাজী ও তার স্ত্রী আখি তরুণীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাসায় এনে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসা করায়। এ ঘটনায় বাড়িওয়ালা রাসেল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করে রায় ঘোষণা করেছেন।