হাতিরঝিল লেক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আগের সংবাদ

এলসি-এনডোর্সমেন্টে বিড়ম্বনা : ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত > বিদেশ যাত্রায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরের সংবাদ

বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয় : গত অর্থবছরে ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয় গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩৯৬ কোটি ১৮ লাখ ৮১ হাজার ২৫৮ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের ঘটনা বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ হাজার ৬৮৩টি মামলার বিপরীতে ৫৩ লাখ ২৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অন্যদিকে বিআরটিএর বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমে অনিয়ম ও হয়রানি এড়াতে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে বলে বিআরটিএ চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিআরটিএর কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন সেবা দিতে হয়রানি ও দালালমুক্ত করতে অনলাইনভিত্তিক সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিআরটিএ অফিসে না এসে ঘরে বসে বিভিন্ন সেবার ফি জমা দেয়া যাচ্ছে। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে – মোটরযান নিবন্ধন, মালিকানা স্থানান্তর, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, মোটরযানের ফিটনেস ইস্যু ও নবায়ন, ট্যাক্স টোকেন ইস্যু ও নবায়ন এবং রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়ন।
চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয়ে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ১ নম্বর আদালত (আদালত-১১) ২০২১ সালের ১ জুন থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৭৬৮ মামলায় জরিমানা আদায় করেছে ১২ লাখ ৮৫ হাজার ৭০০ টাকা। ২ নম্বর আদালত (আদালত-১২) ২০২১ সালের ১ জুন থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ২৮৪ মামলায় জরিমানা আদায় করেছে ৪ লাখ ৭ হাজার ৯০০ টাকা। একইভাবে ৩ নম্বর (আদালত-১৩) ২০২১ সালের ১ জুন থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৩১ মামলায় জরিমানা আদায় করেছে ৩৬ লাখ ২৫ হাজার ৭০০ টাকা। চট্টগ্রাম বিআরটিএর উপপরিচালক (ডিডি) তৌহিদুল হোসেন জানান, বিআরটিএ এখন একটি সেবাবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয় দালালমুক্ত করা হয়েছে। সেবাগ্রহিতারা যাতে কোন ধরনের হয়রানি ছাড়া সেবা পান সেজন্য সেবাগুলো ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। মানুষ ঘরে বসে সেবা নিতে পারছে। তিনি জানান, চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ, মোটরযান মালিক, বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পেশাজীবী মানুষসহ বিআরটিএতে অংশীজনের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে বিআরটিএ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে থাকে। বিশেষ করে করোনাকালে বিএরটিএর কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে ট্যাক্স শনাক্তকরণ নম্বর সনদ আপডেটসহ অন্যান্য কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছেন। করোনায় সেবা কার্যক্রম সচল রাখতে গিয়ে সেলিম রেজা নামে এক কর্মকর্তার প্রাণ দিতে হয়েছে। সরকারের রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা এসেছে কয়েকগুণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়