কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : কয়রার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা গ্রামের খাশিটানা হারুন গাজীর বাড়ির পাশে শাকবেড়িয়া নদীতে ভাটির টানে বেড়িবাঁধের প্রায় ২০০ মিটার স্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে ওই সময় নদীতে ভাটি থাকায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ভাটির সময় ওয়াপদার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা নিজেদের ঘরবাড়ি ও ফসল রক্ষা করতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিং বাঁধের কাজ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দা জি এম মশিউর রহমান মিলন বলেন, গতকাল ভোররাতে শাকবেড়িয়া নদীতে ভাটির টানে আকস্মিক ভাঙনে ২০০ মিটারের মতো নদীগর্ভে বিলীন হয়। তবে দ্রুত বাঁধ মেরামত না করলে জোয়ারে ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি শাকবেড়িয়া নদীর পানিতে তলিয়ে যাবে। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান বলেন, রাতের জোয়ারে বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছিল, ভোরবেলা ভাটির টানে প্রায় ২০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়েছে। দুপুরের জোয়ারের পানি আটকানোর জন্য সকাল থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রিংবাঁধের কাজ করে বিকল্প বাঁধ তৈরি করেছি।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদারসহ একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পাউবোর সেকশন কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, বিকল্প রিংবাঁধ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে পানি প্রবেশের কোনো সম্ভাবনা নেই। দ্রুত বাঁধটি মেরামত করা হবে।