পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

মিয়ানমার : ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সহিংসতার জেরে মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তা, কোম্পানি ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সহিংসতা বন্ধে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানোর পর এ সিদ্ধান্ত এলো।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ইউরোপীয় কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান বিচারপতি ও একজন মন্ত্রীসহ ১৯ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দুই বছর আগে ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে জান্তা সরকারের আগ্রাসন, সহিংসতা বৃদ্ধি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে অস্ত্র ব্যবসায়ী কিয়াও মিন উ ও তার প্রতিষ্ঠান স্কাই এভিয়েটর কোম্পানি। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিয়াও মিন উর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি উচ্চপদস্থ বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের মিয়ানমারে সফরের ব্যবস্থা করতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন। জান্তা সরকারের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্যেও অংশ নেয় তার স্কাই এভিয়েটর।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সহিংসতার জেরে মুনাফা করেছেন অস্ত্র ব্যবসায়ী কিয়াও মিন উ।
এছাড়া কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন তায় জা ও অং মিও মিন্ট। তারা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নাইং হুতুত অং, যিনি রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীকে অর্থায়ন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তিনিও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৮৪ ব্যক্তি ও ১১টি প্রতিষ্ঠান ইইউর নিষেধাজ্ঞার আওতায় এলো। তাদের মধ্যে অনেকের ভিসা ও সম্পদ জব্দ করার নির্দেশও রয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত সপ্তাহে সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়। সংগঠনটি স¤প্রতি, ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত দেশটির কায়া, কায়িন ও চিন রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সাগাইং অঞ্চলে ১৬টি বিমান হামলার ঘটনার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন বেসামরিক লোক নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও ৩৬ জন। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বাড়িঘরে। দুটি হামলায়, সামরিক বাহিনী ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অথচ এসব অস্ত্রের ব্যবহার আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়