পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশে অতীতের রেকর্ড ভাঙতে চায় আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড ময়দানে ডাকা আগামী ৪ ডিসেম্বর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে অতীতের সব রাজনৈতিক জনসভার রেকর্ড ভাঙতে চায় আওয়ামী লীগ। ‘চলো চলো পলোগ্রাউন্ড চলো’- এই স্লোগান নিয়ে মহানগর ও জেলার সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের জনসভায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
জনসভার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর কাজির দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ প্রতিনিধি সভায় তিন কেন্দ্রীয় নেতা এ নির্দেশনা দেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জনসভা করবেন। অতীতে যেভাবে আমরা জনসভা করেছি, এবারও একইভাবে করে চট্টগ্রামের অতীতের সব জনসভার ইতিহাস আমরা ভাঙবো, এটাই হোক আমাদের শপথ।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের এখন থেকে দলকে গোছাতে হবে, সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটা ইউনিটকে ঢেলে সাজাতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী না হলে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত অপশক্তিকে মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। মোকাবিলার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জনসভা হবে। জনসভাকে জনস্রোতে রূপান্তরের আহ্বান জানিয়ে নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে কর্মিসভা করবেন। মহানগরের মধ্যে আওয়ামী লীগে একটা জাগরণ তুলতে হবে। লক্ষ্য একটাই, চলো চলো পলোগ্রাউন্ড চলো। জনসভাকে জনস্রোতে পরিণত করে, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা করে আমরা প্রমাণ দেব, এ দেশের মানুষ এখনো শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী ঐক্যমোর্চা করে এক প্ল্যাটফর্মে এসে উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ বছর টানা আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায়। সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচক্ষণতা- আন্তরিকতার সঙ্গে সেই সংকট মোকাবিলা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই সুযোগ নিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত। তারেক রহমান লন্ডনে বসে স্লোগান দিচ্ছেন- টেক ব্যাক বাংলাদেশ। টেক ব্যাক বাংলাদেশ মানে তো বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া। কোথায় নিয়ে যেতে চান আপনারা দেশকে? ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আপনারা যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন, সেই আমলে নিয়ে যেতে চান? ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান দিয়ে বিএনপি দেশকে একাত্তরের আগের পাকিস্তানে নিয়ে যেতে চায় কিনা জানতে চেয়ে তিনি বলেন, বিএনপির দিলের মধ্যে পাকিস্তান, এখনো মুছে যায়নি। তাদের কথাবার্তায় পাকিস্তানের প্রতি একটা অসীম টান চলে আসে। এই অভিব্যক্তি তাদের পাকিস্তান প্রীতির বহিঃপ্রকাশ।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ভোট আমাদের দরকার আছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নেত্রী নন। তিনি বাংলার সমস্ত জনগণের নেত্রী। কেউ যদি ভালোবেসে আওয়ামী লীগে আসতে চায়, তাকে ‘হাইব্রিড আর কাউয়া’ বলে বিতাড়িত করা দলের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। কোনো মানুষ যদি মিছিলে আমাদের সাথি হতে চান, গঠনতন্ত্রের আনুগত্য মেনে নেয়, তাকে বিতাড়িত করে বিএনপির সুবিধা করে দেয়ার মতো আত্মঘাতী অবস্থান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তরের সভাপতি এম এ সালাম ও শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান মিতা ও খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়