পাচার অর্থ ফেরাতে আট দেশের সঙ্গে চুক্তি চায় দুদক

আগের সংবাদ

টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তায় নজর : দেশীয় গ্যাস-কয়লা উত্তোলন, তেলের মজুত ও পরিশোধন সক্ষমতা বাড়ানো, পাইপলাইনে ডিজেল আমদানি

পরের সংবাদ

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী : সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে নারীরা সব সময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। সে কারণে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে জানান তিনি।
গতকাল বুধবার রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএন ওমেন-এর সহযোগিতায় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংস্থা আয়োজিত ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা স্থানীয়করণ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপিএস-এর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেন্ডার এক্সপার্ট শিপা হাফিজা। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (ইউএন উইং) তৌফিক ইসলাম শাথিল। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডা হাইকমিশনের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল) ব্র্যাডলি কোটস, ইউএন ওমেন-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ গীতাঞ্জলি সিং এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংঘাতময় বিশ্ব পরিস্থিতিতে ২০০০ সালে জাতিসংঘ রেজুলেশন-১৩২৫ নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার নারীদের সম্পৃক্ত করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সমঅংশগ্রহণ এবং নারীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা নেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সব সময় মানবাধিকারের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে সোচ্চার থাকে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ফলে সর্বক্ষেত্রে নারীদের দৃশ্যমান উপস্থিতি রয়েছে। নারীদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে, ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। তিনি নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা স্থানীয়করণে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারীদের ভূমিকা সহজাত। সেজন্য তারা লোকাল ডায়লগ এবং নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেন। এ সময় নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর স্পিকার গুরুত্বারোপ করেন।
নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা স্থানীয়করণ বিষয়ক কর্মশালায় এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, শবনম জাহান, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কাজী কানিজ সুলতানা, মনিরা সুলতানা মনি, সেলিমা আহমেদ, অ্যারমা দত্ত, আদিবা আনজুম মিতাসহ জাতীয় সংসদ সদস্যরা মূল্যবান মতামত দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়