কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রিজার্ভে চাপ পড়েছে। আশা করি আস্তে আস্তে তা স্বস্তিদায়ক হবে। দেশের টাকার প্রয়োজন আছে। আইএমএফের ঋণ আমাদের প্রয়োজন আছে, কিন্তু কোনো কঠিন শর্ত মেনে নেয়া হবে না। যৌক্তিক পরামর্শ মেনে নেয়া হবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈশ্বিক সংকট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক বড় সংকট আসছে। সরকার তা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে। অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখনো স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আছে। সংকটের আলামত আছে, তাই প্রধানমন্ত্রী বারবার এটি বলছেন।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে জাঁকজমক হবে না। কারণ বৈশ্বিক সংকট চলছে। জাতীয় সম্মেলনের আগে সারাদেশের কাউন্সিলগুলো শেষ করা হবে। ইতোমধ্যে কাউন্সিল সফল করতে ১১টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া। আমাদের চেষ্টা আছে, ভুলত্রæটি আছে, তা সংশোধনের চেষ্টাও আছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। কমিশন যেটা আছে, সেটা ‘আজিজ মার্কা’ কমিশন নয়। আইনগতভাবে কমিশন কাজ করবে। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির আপত্তি কোথায়?
বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগামী ২৬ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টানেল আংশিক খুলে দেয়া হবে। এ সময় তিনি বলেন, ১০০ সেতু উদ্বোধন একসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় আগে হয়েছে বলে মনে হয় না। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের প্রকাশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো যে সংকটে দেশ রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা নয়। বরং রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় যাওয়া। তিনি বলেন, বরিশালে বিএনপির সমাবেশের সময় দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কিনা জানি না। বাড়াবাড়ি হলে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়া হবে না, আমি খোঁজ নিচ্ছি। বিএনপির সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামীপন্থি পরিবহন মালিকরা বাস ধর্মঘট করেছেন কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানে জাপা, বিএনপি নেতা ও শাজাহান খান আছেন, তাদের জিজ্ঞেস করুন। আমার এটা জানা নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সমাবেশের মাধ্যমে প্রস্তুত হচ্ছে। কিন্তু সরকার ভয় পায় তাদের আগুনসন্ত্রাসকে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বললেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। তাদের টাকার উৎস ও কাকে কত দেয়া হবে, সেটার হিসাব করছে তারা, সেটাও আমরা জানি।