পুণ্যস্নানে শেষ হবে সুন্দরবনের রাসমেলা

আগের সংবাদ

মিলছে আইএমএফের ঋণ > বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো : রাহুল আনন্দ

পরের সংবাদ

‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে গোয়েন লুইস : বৈশ্বিক এজেন্ডায় রোহিঙ্গা ইস্যু ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বৈশ্বিক এজেন্ডায় রোহিঙ্গা ইস্যু ধরে রাখা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি খুব চ্যালেঞ্জিং বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে গোয়েন লুইস এসব কথা বলেন। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বলেন, বৈশ্বিকভাবে অনেক ইস্যু প্রতিনিয়ত সামনে আসছে। আফগানিস্তান ইস্যুর পরপরই সামনে এলো ইউক্রেন ইস্যু। এটি এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা সমস্যা বৈশ্বিক এজেন্ডায় ধরে রাখা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি রোহিঙ্গা ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে।
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে করার পরামর্শ দিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। আর সেটি অবশ্যই হতে হবে নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘ কাজ করছে। জাতিসংঘ এ বিষয়ে অব্যাহত সহযোগিতা করে যাবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি খুব চ্যালেঞ্জিং। তাদের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। সেখানে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। রোহিঙ্গাদের অর্থায়নের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য দাতাদের দেয়া ফান্ড থেকে জাতিসংঘের স্থানীয় অফিস ব্যবস্থাপনায় মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ ব্যয় করা হয়। বাকি অর্থ রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করা হয়। ইউক্রেন সংকট নিয়ে তিনি বলেন, এটি এখন খুব জটিল বিষয়। এ সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে সংলাপ হয়েছে। এ সংকটের সমাধান জরুরি।
বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আমাদের কাজের অংশ। কিন্তু বাংলাদেশে কাজ করার এখতিয়ার আমাদের নেই। এটি বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত। যদি তারা মনে করে তাদের সহায়তা দরকার, তাহলে তারা জাতিসংঘকে জানাবে। নিরাপত্তা পরিষদ বা সাধারণ পরিষদ কিংবা কোনো দেশ থেকে বিশেষ অনুরোধ না পেলে জাতিসংঘের ‘কাজ করার ম্যান্ডেট নেই’ বলেও জানান তিনি।
সহিংসতার কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মে মাসে আমি ঢাকায় আসার পর থেকে গত কয়েক মাসে মানুষ আহত হয়েছেন এবং নিহতও হয়েছেন। এটা নিশ্চিতভাবে ?উদ্বেগের। কীভাবে এর সমাধান করা যায়, তা নিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মধ্যেই রয়েছে জাতিসংঘ। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছি। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও কথা বলছি যাতে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা এবং জীবন রক্ষা করা যায়। তিনি বলেন, প্রতিবাদ ও সমাবেশ গণতন্ত্রেরই অংশ এবং এর প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়