নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : বন্দরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে গলা কেটে মা আয়েশা বেগমকে (৩৮) হত্যা করেছে। গত রবিবার রাত তিনটায় উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জহরপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ওসি আবু বক্কর।
তিনি জানান, ছেলে মাজহারুল ইসলাম সজিব (২১) দীর্ঘদীন ঘরে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিল। এজন্য তাকে বাসায় শিকল এবং দড়ি দিয়ে ঘরের মধ্যে বেধে রাখা হতো। রবিবার গভীর রাতে কোনভাবে শিকল খুলে ফেলে সজিব। ঘুমন্ত মাকে ধারাল বটি বা ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে মা আয়েশা বেগমকে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানায়, ছোট সজিবকে মায়ের কাছে ফেলে স্বামী রফিক চলে যায়। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই ছেলেকে খেয়ে বা খেয়ে লালন পালন করে আসছেন মা আয়েশা বেগম। ৭ বছর ধরে সজিব বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে হঠাৎ খারাপ আচরণ করত। গত রাতে হঠাৎ আয়েশার ঘর থেকে কান্নার শব্দ হলে ঘরে গিয়ে তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ঘাতক সজিব পালিয়ে যায়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, আয়েশার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুনেছি ছেলে সজিব মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিল। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।