৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

বেসিসের আইসিটি পুরস্কার পেল ৬৮ প্রকল্প

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশের উদ্ভাবনী ও সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবাগুলোকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাই করা হয় এবং তাদের স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান করার লক্ষ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথমে প্রায় ৫০০ প্রকল্প জমা পড়ে, সেখান থেকে ২৯৫ প্রকল্প বিচারকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য বাছাই করা হয়-
দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর আয়োজনে পঞ্চমবারের মতো প্রদান করা হলো বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস। ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এই অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্ভাবনীমূলক পণ্য ও সেবা প্রকল্পসমূহকে স্বীকৃতি দিতে এবারের আসরে মোট ৩৬ ক্যাটাগরিতে ৬৮ পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্ত সেরা প্রকল্পসমূহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অস্কার হিসেবে খ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে আমাদের সফটওয়্যার ও আইটি পরিষেবা রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ১৪০ কোটি ডলার। আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে এটিকে ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চাই আর অন্তত ৩০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই। যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ভবিষ্যতে এই লক্ষ্যমাত্রা তাদের নিয়ে পূরণ করা হবে। আগামীর জন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তির দিকে মনোযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে সফটওয়্যার হচ্ছে ভবিষ্যত অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন ২০৪১ দিয়েছেন, একটি বুদ্ধিদীপ্ত, সাশ্রয়ী, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশের, সেখানে মূল চালিকাশক্তি হবে সফটওয়্যার শিল্প থেকে আমাদের রপ্তানী আয়। একই সাথে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পূর্ণভাবে সফটওয়্যার শিল্প নির্ভর হয়ে যাবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য মূল চারটি উপাদান থাকবে। তার মধ্যে সরকার হবে স্মার্ট, সোসাইটি হবে স্মার্ট, সিটিজেন হবে স্মার্ট এবং আমাদের ইকোনমি হবে স্মার্ট। এই চারটি উপাদান নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমি আশা করি সেই যাত্রায় এখানে যারা কাজ করছেন সেই যাত্রায় অংশীদার হবেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, সরকারি অফিসগুলোকে যতবেশি ডিজিটাইজ করা হবে জনগণের জন্য ততবেশি সুবিধা হবে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীদেরও সুবিধা হবে। সঙ্গে সঙ্গে এনালগ সিস্টেমগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে বিভিন্নভাবে। যেন সকল পর্যায়ের মানুষ সুবিধাগুলো পায়। সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ই-গভর্নেন্স প্রকল্পের কাজ যে সকল দেশিয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান করে থাকে, তাদের যেন স্বীকৃতি দেয়া হয়। যে প্রতিষ্ঠান প্রকল্পে কাজ করছে সেখানে ঐ প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকলে তাতে তাদের স্বীকৃতির পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। অন্যদিকে এতে করে বিদেশেও একই ধরনের কাজ পাওয়া সহজ হয়।
পাশাপাশি দেশের ইন্ডাস্ট্রি ব্র্যান্ডিং এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়নসহ এ সংক্রান্ত কার্যক্রমে বেসিসকে সম্পৃক্ত করার দাবিও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, পুরস্কৃত সেরা প্রকল্পগুলোকে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আগে আমরা তাদের গ্রুমিংয়ের ব্যবসা করব যাতে বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও আমরা এপিকটা অ্যাওয়ার্ড জিততে পারি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়