৪০তম বিসিএস : নন-ক্যাডারদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ মোমবাতি প্রজ্বালন

আগের সংবাদ

ঝুলে গেল সমন্বিত তিস্তা প্রকল্প : ভূরাজনৈতিক চাপের কারণে এই প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার, এখনো হাল ছাড়েনি চীন

পরের সংবাদ

নির্মূল কমিটির আলোচনায় বক্তারা : ধর্মের নামে রাজনীতি বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে থাকতে পারে না

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৭২-এর সংবিধানে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য ৩০ লাখ শহীদ, জাতির পিতা এবং ৩ নভেম্বরের শহীদদের আত্মদান চিরস্মরণীয় রাখতে সরকারকে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ধর্মের নামে রাজনীতি বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে থাকতে পারে না। শুক্রবার বিকেলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং ১৯৭২-এর সংবিধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। যে দিবসটি দীর্ঘ ষোল বছর আমরা একা উদযাপন করতাম সেই ৪ নভেম্বর আজ সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ৫০ বছর আগে এই দিনটিতে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান গণপরিষদে উপস্থাপনের সময় বলেছিলেন, ‘আজকে আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন, সে আনন্দ আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ভবিষ্যৎ বংশধররা যদি সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শোষণহীন সমাজ গঠন করতে পারে, তাহলে আমার জীবন সার্থক, শহীদের রক্তদান সার্থক’।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা শওকত বাঙ্গালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, যুদ্ধাপরাধী সাকার বিরুদ্ধে সাক্ষী-মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তান দেবব্রত সরকার দেবু, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মনসুর, যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন যুব, নির্মূল কমিটির জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. অলিদ চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পারস্পরিক সাংঘর্ষিক। বিভিন্ন সময়ে সংবিধান সংশোধনের পরও ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’-এর জায়গাটি পরিবর্তন হয়নি। ডা. মাহফুজ বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা সবসময় বঙ্গবন্ধুর অসা¤প্রদায়িক সংবিধানকে অপদস্থ করার ষড়যন্ত্র করছে। নির্মূল কমিটির দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ৪ নভেম্বরকে সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুর রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি দীর্ঘদিন ধরে অসা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে অবিচল থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। অসা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে পারি- সেই প্রত্যাশাই রাখি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়