নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ইমরান খানকে বাঁচালেন এক যুবক : প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দিকে সন্দেহের তীর

আগের সংবাদ

এ মরণফাঁদ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

পরের সংবাদ

মার্চে পাইপলাইনে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু হবে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামী মার্চ থেকে দেশে ডিজেল আমদানি করা হবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে এই তেল আনা হবে। পাইপলাইন প্রকল্প নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) এর কাছ থেকে রেলওয়ের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার ২০০ টন ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। এই তেল ট্রেনের মাধ্যমে বহন করে পার্বতীপুরের ডিপোতে আনা হয়। এতে প্রায় ১ মাস সময় লাগে। পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তেল পার্বতীপুর রেল ডিপোতে পৌঁছবে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কমবে। তবে কী পরিমাণ ডিজেল আমদানি করা হবে তা ভারতের রিফাইনারি ও পাইপলাইনের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানিয়েছেন, ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আমদানির লক্ষ্যে পার্বতীপুরের রেলহেড ডিপোর স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বাড়ানোর কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে আড়াই লাখ টন ডিজেল আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাইপলাইনে আনতে ব্যারেল প্রতি ৮ ডলার দাম পড়বে। তবে জাহাজে আনলে ১০ ডালার লাগত। এতে খরচ কম হবে। আগামী বছরের মার্চে পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আনা শুরু হবে বলে আশা করছি।
সূত্র জানায়, এই প্রকল্পের নাম ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্প’। মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এবং ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। ২০২০ সালে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতের নুলাইবাড়ি রিফাইনারি লিমিটেড থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর তেল ডিপো পর্যন্ত ১৩১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্যে ভারতের অংশে রয়েছে ৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশের অংশে ১২৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার। দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদার একটি বড় অংশ হলো ডিজেল। প্রতি বছর প্রায় ৩৬ লাখ টন ডিজেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকটের ধাক্কা বাংলাদেশেও লাগে। স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে তেল ও এলএনজি কেনা বন্ধ করে সরকার। এই অবস্থায় কম খরচে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হলে সংকট অনেকটাই কেটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক টিপু সুলতান জানান, পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শেষ হবে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে কী পরিমাণ তেল আনা হবে তা ভারতের রিফাইনারি ও পাইপলাইনের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়