নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ইমরান খানকে বাঁচালেন এক যুবক : প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দিকে সন্দেহের তীর

আগের সংবাদ

এ মরণফাঁদ থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

পরের সংবাদ

জার্মান নেতা শলৎজের চীন সফর

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : তীব্র বিতর্কের মধ্যেই জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ব্যবসায়িক নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে একদিনের সফরে চীনে গেছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে তিনি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বেইজিংয়ের গণমহাভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, চ্যান্সেলর শলৎজের সফর দুদেশের পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থা বৃদ্ধি করবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় বাস্তব সহযোগিতা গভীরতর করবে, এবং পরবর্তী পর্যায়ে চীন-জার্মানি সম্পর্কের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
২০১৯ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে শলৎজই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রথম শীর্ষ নেতা এবং বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭ এর একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে চীন সফরে গেলেন। কিন্তু চীনের জিরো-কোভিড নীতি এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে শক্তিধর কোনো পশ্চিমা দেশের নেতার বেইজিং সফর যেখানে অকল্পনীয় হয়ে উঠেছে, সেখানে দেশটিতে শলৎজের এই সফরে যাওয়া নিয়ে খোদ জার্মানি, ইউরোপ ও আমেরিকাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে একটি নীতিনির্ধারণী বৈঠক হতে পারে। পরিবর্তিত বিশ্বের বাস্তবতার নিরিখেই এই সফরকে দেখছেন অনেকে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে জার্মানিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে ব্যবসায়িক স্বার্থে চ্যান্সেলর শলৎজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাশিয়ার উপর লাগামহীন নির্ভরতার পরিণাম কতটুকু তা জার্মানি এখন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে গ্যাসসহ জ্বালানি আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জার্মানিকে মরিয়া হয়ে দ্রুত বিকল্পের সন্ধান করতে হচ্ছে। এ কারণে চীনের মতো একনায়কতন্ত্রের সঙ্গে জার্মানি এখন নরম মনোভাব দেখাচ্ছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, চীনের ওপর বেশি নির্ভর করতে গিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎজ একই ভুল করছেন, যে ভুল তিনি এর আগে করেছিলেন রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে।
স¤প্রতি হামবুর্গে একটি বন্দর প্রকল্পে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি ‘কসকো’র অংশগ্রহণ নিয়ে জার্মানির সরকারের উপরমহলে তিক্ত বিরোধ দেখা দেয়। কিন্তু মন্ত্রিসভার ৬ মন্ত্রীর বিরোধিতা উপেক্ষা করে শলৎজ কসকোর অংশগ্রহণ অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নরম মনোভাব দেখান।
উপরন্তু এবার শলৎজ চীন সফরে যাওয়ায় তার ভূমিকা নিয়ে জার্মানিতে অস্বস্তি বাড়ছে। বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে চীনের প্রতি জার্মানি এবং ইইউর নীতি কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে না পৌঁছেই তিনি বেইজিংয়ে গেলেন। এদিকে, সমালোচকদের আশ্বাস দিয়ে শলৎজ বলেছেন, তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমান পারস্পরিক অধিকারের উপর জোর দেবেন। তিনি জার্মানির সংকীর্ণ স্বার্থে ইউরোপের স্বার্থ খর্ব না করারও অঙ্গীকার করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়