সাগর-রুনি হত্যা মামলা : তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল ৯৩ বার

আগের সংবাদ

গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ায় শঙ্কা : ৩৮০ কোটি ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে বিতরণ ২৬০ কোটি ঘনফুট

পরের সংবাদ

রুমিনের মাইক বন্ধ করে দিলেন ডেপুটি স্পিকার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় ডেপুটি স্পিকারের অনুরোধ না রাখায় রুমিন ফারহানার মাইক গতকাল বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করছিলেন।
বিএনপির সংসদীয় আসনের এমপি রুমিন ফারহানা বিদ্যুৎ সেক্টরের লুটপাট ও দুর্নীতির বিষয়ে বলেন, দুই বছরের ইনডেমনিটি দিয়ে কুইক রেন্টাল চুক্তি করা হলেও বিষয়টা এখন ১৬ বছরে গিয়ে ঠেকেছে। ১২টি কোম্পানিকে ৯০ হাজার কোটি টাকা তুলে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অবকাঠামো খাতে ব্যাপক লুটপাট হচ্ছে। ঢাকা-ভাঙা-মাওয়া মহাসড়ক নির্মাণ করতে প্রতি কিলোমিটার ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। যেখানে ইউরোপে চার লেনের সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ৩০ কোটি টাকা। এত অর্থ যেখানে লুটপাট হয় সেখানে টাকা পাচার হবে, এ তো স্বাভাবিক।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘তিনি বলেছেন, যুদ্ধের সময়ও তো আমাদের কিছুই ছিল না, তবুও তো আমরা চলেছি। এখনো আমরা পারব, এখনো আমরা দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না, কেন না, আমাদের হাতে টাকা নেই, আমাদের রিজার্ভ অনেক কমে গেছে, সামনে কী আছে এখনি বলা যাচ্ছে না’। রুমিন বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অবনতি হচ্ছে তখনই আমরা বুঝতে পারছিলাম যখন এই শীত শীত সময়েও শুক্রবারে ছুটির দিনে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছিল বার বার। এছাড়া দুর্ভিক্ষ যে আসছে তা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট। তিনি বার বার বলছেন, সতর্ক করছেন, প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলাতে, ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় বাড়াতে বলছেন। এটাতে একটা প্যানিক সৃষ্টি হয়েছে জনগণের মধ্যে। এতে বুঝতে হবে পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ।
তিনি বলেন, তবে সরকারের হাতে ৩ নন্দ ঘোষ আছে- এক কোভিড, দুই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং তিন বিশ্ব মন্দা। সরকার সমস্ত দোষ চাপাচ্ছে এই ৩ নন্দ ঘোষের ওপর। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন তারা জানত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে মেয়াদের পর মেয়াদ তারা ক্ষমতায় থাকবে। এর জন্য তাদের কিছু গোষ্ঠী কায়েম করতে হয়। সেই গোষ্ঠীকে খুশি করতে আইন ও প্রতিপালন করতে হয়। বাংলাদেশকে নিয়ে আইএমএফের রিপোর্ট নিয়ে বিবিসি প্রচার করে শ্রীলঙ্কার মতো ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, তারা এদেশকে ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করে। ব্যাংকে সোয়া ১ লাখ টাকা মন্দ ঋণ। তবে তা ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা বলেও অনেকে মনে করছেন। সত্যি এটা কত, তা সত্যিকারভাবে সরকারকে জানানোর দাবি জানান। ব্যাংক আইন পরিবর্তন করে এক একটা ব্যাংককে এক একটা পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রুমিন। এ পর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার রুমিন ফারহানাকে বসার অনুরোধ করেন। তখনো তিনি তার বক্তব্য চালিয়ে যেতে চাইলে স্পিকার রুমিনের মাইক বন্ধ করে দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়