স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে

আগের সংবাদ

এসডিজি অর্জনে তিন চ্যালেঞ্জ : চারটি অভীষ্ট সঠিক পথে, ছয়টিতে উন্নতি, তিনটি অপরিবর্তিত, দুটির মূল্যায়নে উপাত্তে ঘাটতি

পরের সংবাদ

নাগরিক সমাবেশ : লামায় রাবার কোম্পানির লিজ বাতিলের দাবি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামায় ম্রো এবং ত্রিপুরাদের ৪০০ একর ভূমি বেদখলের প্রচেষ্টা বন্ধ এবং প্রাণ-প্রকৃতিবিনাশী রাবার কোম্পানির লিজ দ্রুত বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে নাগরিক সমাবেশ করেছে আদিবাসী ছাত্র যুব সংগঠন। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তারা লামায় তিনটি গ্রামের অধিবাসীদের ৪০০ একর জমি বেদখল করা, সেখানে বসবাসকারী ৩৯টি ম্রো এবং ত্রিপুরা পরিবার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র, ভূমি রক্ষায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, ম্রো আদিবাসীদের ৩০০ কলাগাছ কেটে ফেলা, ম্রো কার্বারি পাড়ার বাসিন্দাদের অন্তত ৫০টি আম গাছ এবং আনুমানিক ২০ একর পরিমাণ বন কেটে ফেলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা রাবার কোম্পানিটিকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
এ সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাবেক সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, রাষ্ট্রে বৈচিত্র্যতা আছে সরকার এটা বোঝাতে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতে পাহাড়ি ভাই-বোনদের নিয়ে এসে নাচ গান করায়, যা মূলত তাদের অনুষ্ঠানগুলোকে পূর্ণতা দেয়। কিন্তু একদিকে তাদের ব্যবহার করে আর অন্যদিকে তাদের নির্মূল করার জন্য কৌশলে তাদের বাসস্থান ধ্বংস করে। সরকার একদিকে দুর্ভিক্ষের কথা বলে একখণ্ড জমিও অনাবাদি রাখতে নিরুৎসাহিত করছে অন্যদিকে পাহাড়ি এলাকায় যেসব জমিতে চাষাবাদ হতো সেগুলো রাবার কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছে। এতে কী বোঝা যায়?
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল চৌধুরী বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পার হলেও পাহাড়ে শান্তি ফিরছে না, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। আজো পাহাড়ে বসবাসকারী নাগরিকদের জমি দখল, শস্যক্ষেত পুড়িয়ে দেয়া, গাছ কেটে ফেলাসহ নানা ধরনের নিপীড়ন চালানো হয়। আমরা পাহাড়িদের ওপর নির্যাতনের বিচার চাই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ বলেন, পাহাড়িদের ওপর অনবরত হামলা ও নির্যাতনের কোনো বিচার হয় না। এ বিষয়ে আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমার সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব চঞ্চনা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিপণ ত্রিপুরা, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুমসহ আরো অনেকে।
সমাবেশে সাত দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো- প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশী রাবার কোম্পানির লিজ বাতিল করা, স্থানীয় ম্রো এবং ত্রিপুরাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ৪০০ একর জমি বেদখল প্রচেষ্টা বন্ধের লক্ষ্যে প্রশাসনকে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ম্রো এবং ত্রিপুরাদের প্রথাগত ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যকর করা এবং অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়