ঢাকার রাশিয়ান হাউজ : স্পুতনিক উৎক্ষেপণের ৬৫তম বার্ষিকী উদযাপন

আগের সংবাদ

উত্তপ্ত রাজপথে পাল্টাপাল্টি শোডাউন

পরের সংবাদ

ব্যস্ত সময়ে তনয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এ প্রজন্মের অভিনেতা তনয় বিশ্বাস। এন রাশেদ চৌধুরী পরিচালিত ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমায় অশোক চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন তনয়। বর্তমানে বেশকিছু ধারাবাহিক নাটক ও প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। খুব শিগগিরই টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাবে সেগুলো। এছাড়া যুক্ত হয়েছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাস অবলম্বনে জাহিদুর রহিম অঞ্জনের সিনেমা ‘চাঁদের অমাবস্যা’য়। যেখানে নির্মাতা চাইছিলেন তনয়ের ‘মিনিমাইজ অ্যাক্টিং’। কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তনয় বলেন, ‘অভিজ্ঞতা খুবই ভালো ছিল’। সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় প্রসঙ্গে তনয় বলেন, যদি আসাদুজ্জামান নূর আঙ্কেলের কথা বলি, এমন একজন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নার্ভাস হয়ে গেলেও উনি এত অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী যে, খুব সহজ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে আমার সঙ্গে কাজটা করেছেন। আর ইরেশ ভাই সম্পর্কে বলতে হয়, সে অনেক হেল্পফুল, শুটিংয়ের আগে রিহার্সেল, সংলাপ বলায় সাহায্য করা, বলতে গেলে একজন সহশিল্পী হিসেবে যতটা সাহায্য করা যায় সবই করেছেন। ’ তনয় আরো জানান, সিনেমাটির শুটিং, ডাবিং শেষ, এখন কালার কারেকশন আর মিউজিকের কাজ বাকি। আরো দুটি সিনেমার বিষয়ে কথা হলেও সেটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। যশোরে বেড়ে ওঠা তনয় ছোট থেকেই সাংস্কৃতিক পরিবেশের ভেতর ছিলেন। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা ছিল তনয়ের, এছাড়া হ্যান্ডবল ও বাস্কেটবল খেলার প্রতি আগ্রহী হন। হ্যান্ডবলে ন্যাশনাল লীগেও খেলেছেন। বরাবরই চেয়েছিলেন একজন ভালো খেলোয়াড় হওয়ার। কিন্তু সাপোর্টটা না পেয়ে তনয় ঢাকায় চলে আসেন। এর আগে পথনাটকের দল গঠন ও নাটক করেন। কিন্তু সময়ের ব্যস্ততায় থেমে যায় সেই দলের কার্যক্রম। অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না তনয়ের। একটি থিয়েটার স্কুলে স্কুলি য়ের মাধ্যমে একটি কাজের সুযোগ পেয়ে যান। কাজটি দিয়ে প্রশংসাও পান তিনি। ভালো লাগা শুরু হয় অভিনয়ের প্রতি, এরপরই যুক্ত হন ‘চন্দ্রাবতী কথা’য়। কাস্টিংয়ের জন্য অডিশনে পরিচালক তাকে অশোক চরিত্রের জন্য পছন্দ করেন। ৫-৭ দিন পর তাকে চূড়ান্তভাবে জানানো হয়, চিত্রনাট্য দেয়া হয়। সিনেমার চরিত্রের জন্য চুল বড় রেখেছিলেন তনয়। দীর্ঘদিনের শুটিংয়ের প্রয়োজনে নিয়মিত চুল-দাড়ির পরিচর্যা করতেন, যার ফলে ওই সময় অন্য কোনো কাজে যুক্তও হননি। এরপরপরই যুক্ত হয়ে যান বেশকিছু ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের কাজে। তখন কাজের অবস্থা বর্ণনা করে তনয় বলেন, ‘যেহেতু আমি নতুন কাজ করছিলাম, তারকাখ্যাতি ছিল না, সবাই জানতো মিডিয়াতে কাজ করছে, ভালো করছে। চেষ্টা করেছি সমান্তরাল ও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার, যার জন্য বেশ কষ্টও করতে হয়েছে।’।কাজ নিয়ে পরিবারের সাপোর্ট আছে কিনা জানতে চাইলে তনয় বলেন, ‘পরিবার চাইছিল আমি পড়াশোনা শেষ করে জবে ঢুকি। কারণ মিডিয়ার জগৎটা তো অনিশ্চিত। লড়াই করে যুক্ত হয়েছি, এখনো লড়াই করেই আছি বলা যায়।’ তবে অভিনয়টাই আগাগোড়া করতে চান তনয়, যেটা আগে তার নেশা থাকলেও এখন নেশা-পেশা দুটিই।

:; আর এস সৈকত

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়