কাগজ ডেস্ক : রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনীয় শহর খেরসনে কিইভ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চারজন নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মস্কোর নিয়োগ করা ওই অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর কিরিল স্ত্রিমুসোফ গতকাল শুক্রবার জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি বেসামরিক ফেরিতে আঘাত হানে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে বাড়তে থাকা চাপের মুখে রুশ অধিকৃত অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ আগামী ছয় দিনের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
স¤প্রতি ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণের যে চারটি অঞ্চল রাশিয়া নিজেদের ভূখণ্ডভুক্ত করে নিয়েছে খেরসন তার অন্যতম।
রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খেরসনের ইউক্রেনীয় বাহিনী ১২টি হিমার্স (এইচআইএমএআরএস) ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিলেও একটি আন্তনোভস্কি সেতুর কাছে নিপ্রো নদী পারাপারে ব্যবহৃত বেসামরিক ফেরিটিতে আঘাত হানে।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে দুইজন নিহত এবং শিশু ও সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানানো হয়। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়ায়। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীগুলো বড় ধরনের একটি পাল্টা-আক্রমণ শুরু করার জন্য খেরসন ও জাপোরিজিয়ার অভিমুখে সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে বলে রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে।
রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এর খেরসন অঞ্চলের জয়েন্ট ফোর্সেস কমান্ডার সেনাবাহিনীর জেনারেল সের্জেই সুরোভকিন চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে জানিয়েছিলেন, তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী খেরসন অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীগুলোর যুদ্ধে নিষিদ্ধ উপায় ব্যবহার করার সম্ভাবনা আছে, তারা কাখোভস্কায়া জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। খেরসন শহরের বাসিন্দাদের জন্য পরিস্থিত অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অঞ্চলটির মস্কো নিয়োগকৃত ভারপ্রাপ্ত গভর্নর ভলোদিমির সালদো নগরীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে বেসামরিক বাসিন্দাদের নিপ্রো নদীর একপাশ থেকে অপর পাড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।