৫ জন গ্রেপ্তার : বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস

আগের সংবাদ

ব্যর্থ মেটার হরাইজন ওয়ার্ল্ডস

পরের সংবাদ

খাতুনগঞ্জে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : শ্রমিক হত্যার ঘটনায় দুই দিন অচল ছিল দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। সেই শ্রমিক সর্দার মাসুদ খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বাকলিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো. সোহাগ (২২) ও মো. সাইদুল হোসেন (২২)। সোহাগ আমিন হাজী রোড মোজাহের কলোনির এবং সাইদুল তক্তারপুল বিসমিল্লাহ কলোনির বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে নগরীর বাকলিয়ার মোজাহের কলোনি থেকে মো. সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগরের কাশিপুর এলাকা থেকে ওদিন রাতে সাইদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আসামি সাইদুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি বাকলিয়া হাজী আমিনুর রহমান সড়কের হিফস এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের পাশে খালি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুজনসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সবার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। পিকআপ ভ্যান চালানোসহ নি¤œ আয়ের বিভিন্ন পেশায় এরা জড়িত। সবাই থাকে বাকলিয়া এলাকায় বিভিন্ন বস্তিতে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরেক আসামি রাসেল মিয়াসহ (২২) আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের পুরো ঘটনা উদ্ঘাটন করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মৃণাল কান্তি মজুমদার বলেন, মাসুদ ছিলেন পরিবহন থেকে পণ্য লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক। সেখানে শ্রমিকদের একটি বড় অংশের মাঝি বা সর্দার হিসেবেও ছিলেন তিনি। গত ১৭ অক্টোবর সকালে কথা কাটাকাটির জেরে সন্ধ্যায় রাসেল ও তার সহযোগীরা আড়তে ঢুকে মাসুদকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর শুরু করে। মাসুদের হাতে মালামাল টানার কাজে ব্যবহৃত একটি লোহার হুক ছিল। নিজেকে রক্ষায় তিনি হুক দিয়ে রাসেলদের আঘাতের চেষ্টা করেন। তখন সাইদুল পকেট থেকে ছোরা বের করে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। মাসুদ লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে ব্যবহ্যত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর সকালে রাস্তার ওপর পিকআপ রাখা নিয়ে খাতুনগঞ্জের চাঁন মিয়া গলিতে মো. মাসুদের সঙ্গে পলাতক আসামি রাসেল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই সন্ধ্যায় রাসেল মিয়া, সাদ্দাম, সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন শ্রমিক সর্দার মো. মাসুদকে (৪০) মারধর এবং বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। এরপরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ অক্টোবর সকালে মো. মাসুদ মৃত্যুবরণ করেন। নিহত মাসুদের ছেলে মো. বাবুল বাদী হয়ে মোহাম্মদ রাসেল নামে এক পিকআপ চালকসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মাসুদ নিহতের জেরে খাতুনগঞ্জে সব ধরনের পণ্য ওঠানামা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। এর ফলে দেশের অন্যতম বড় এই ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার দুদিন অচল ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়