হাজারীবাগের বিস্ফোরণ : পা হারানো দিলীপসহ শঙ্কাজনক অবস্থায় ২

আগের সংবাদ

পাঁচ কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু!

পরের সংবাদ

৫ শিক্ষকের এমপিও বাতিল হবে : পরীক্ষা শুরুর আগে সরিয়ে রাখা হয় প্রশ্ন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বোর্ড পরীক্ষার সবচেয়ে আস্থার জায়গা হলো কেন্দ্র সচিবরা। আর সেখান থেকেই যখন প্রশ্নফাঁস হয় তখন সেটি লজ্জাজনক- এমনটিই বলছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। সামনের পরীক্ষাগুলোতে কেন্দ্র সচিবদের ওপর আরো নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এদিকে তদন্তে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত পাঁচ শিক্ষকের এমপিও বাতিল করা হবে।
এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৯ জুন। বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে শুরু হয় গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। পরীক্ষার ৩ দিন আগে প্রশ্নপত্র যাচাই বাছাই করেন কেন্দ্র সচিবরা। সেই কাজ করেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী কেন্দ্র সচিব লুৎফুর রহমান। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন আলাদা করে রাখার সময় বাংলা প্রথম পত্রের দুটি খাম তৈরি করেন লুৎফুর রহমান। কিন্তু সেই খামের একটিতে রাখেন ৬টি বিষয়ের প্রশ্ন। সেই সময়ে নজরদারিতে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান। কিন্তু কেন্দ্র সচিব লুৎফুর রহমান দুটি খাম থানার ট্রেজারি থেকে নিয়ে যান। বাংলা প্রথম পত্রের খামটি খুলে পরীক্ষা নেন। আরেকটি খামে রাখা ছয়টি বিষয়ের প্রশ্ন নিজের লকারে রেখে দেন লুৎফুর রহমান। এই সময় কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে সংযুক্ত কর্মকর্তা ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি সেটির আলোকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবসহ ৪ শিক্ষকের এমপিও বাতিল করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা একেবারেই নতুন। এরপর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহের ধরনের পরিবর্তন আনা হবে। এর সঙ্গে কারা জড়িত? কেন্দ্র সচিবের মটিভ কী ছিল- এসব প্রশ্নের উওর রিপোর্ট হাতে পেলে উপস্থাপন করা যবে। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম বলেন, সেটিং এর সময় সেখানে টেগ অফিসার থাকেন। টেগ অফিসারের অবহেলার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়