এসপি হলেন পুলিশের ৪৭ কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

সাশ্রয়ের নামে নিম্নমানের বই! : ছাপানো শুরু হয়নি, বছরের প্রথমদিন সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া অনিশ্চিত

পরের সংবাদ

ড. খন্দকার মোশাররফ : বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গত ১৫ বছর অনেক চেষ্টা করেও বিএনপিকে দমাতে বা দুর্বল করতে পারেননি। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যাদের নামে মামলা নেই। তবুও কেউই দল ছেড়ে যায়নি। বিএনপি ঐক্যবব্ধ থেকেই দেশের গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ ব্রিজের ঢালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ৭ নম্বর জোন আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চাল, ডাল, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়াসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ানো এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, নাজিমউদ্দিন আলম, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামীলীগের পেটুয়া বাহিনীকে বলতে চাই আপনাদের চিহ্নিত করে রাখছি। বেশিদিন সময় নাই, জনগনের সামনে আপনাদের বিচার হবেই। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, অনেক হয়েছে আর নয়। আর একজন নেতাকর্মীর ওপরেও হামলা করবেন না। যারা বলে বিএনপিকে রাজপথে খুঁজে পাওয়া যায় না, তারাই ভয় পেয়ে আপনাদের বিএনপির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। তারা নিজেরাই পালানোর জায়গা পাবে না।
মোশাররফ বলেন, এদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি তেলের দাম এত বেশি যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। নিজেদের দুর্নীতির কারণে এসব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের নেই।
তিনি বলেন, জনগণের ন্যায্য দাবি, দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছি। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ৭৫ এ বাকশাল কায়েম করেছিল, আজকে শেখ হাসিনার সরকারও বাকশাল কায়েম করতে চায়। জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে নামলেই এই সরকারের পতন অনিবার্য।
মঈন খান বলেন, এ দেশের মানুষ খুব বেশি কিছু চায় না। তারা ৫ বছরের মাথায় কেন্দ্রে গিয়ে নিজের হাতে ব্যালট বাক্সে নিজেদের ভোট দিতে চায়। কিন্তু সরকার প্রতিবারই আগের রাতে ভোটবাক্স ভর্তি করে ভুয়া সংসদ গঠন করেছে। তাই এবার তাদের প্রতিহত করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই একটি নিরেপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্যায়, দুশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আমরা এক হয়েছি। এই সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা না করে আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা বাঁশের লাঠি ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা টানিয়ে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসছেন। দুপুর ২টার কিছু সময় পর থেকেই সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন এবং লাঠি ও স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা টানিয়ে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ও সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশস্থলের আশপাশে পুলিশ ও র‌্যাবের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়