চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম শহরে গত পাঁচ বছরে ২০ হাজার ৫৬৩ পরিবারের ৮৪ হাজার ৯৮ জন মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩ হাজার ৯৮১ জন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে বস্তিবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘ওয়াশ ফর আরবান পুওর’ প্রকল্পের ঘোষণা দেয় ডিএসকে। এর মাধ্যমে নগরীর ১২টি ওয়ার্ডের ৩০টি বস্তি এলাকা ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কাজ শুরু করে সংস্থাটি। এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- বস্তিবাসী ও শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ খাবার পানি, আধুনিক স্যানিটেশন, বস্তিতে কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণ, ভাসমান মানুষের জন্য নগরে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, স্কুল ওয়াশ কার্যক্রম এবং বস্তি পর্যায়ে হাইজিনিং কার্যক্রম। দাতা সংস্থা ওয়াটার এইড বাংলাদেশের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ডিএসকের উদ্যোগে আয়োজিত একটি ওয়ার্কশপে এসব তথ্য দেয়া হয়। এতে ওয়াটার এইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার এম এম মামশাদ ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে ডিএসকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরেফাতুল জান্নাত প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ডিএসকে চট্টগ্রামের তিনটি হাসপাতালে চারটি স্বল্পকালীন প্রকল্পের আওতায় করোনা সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করে মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করে আসছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় (হাইজিন সাপোর্ট) একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সংস্থাটি। যেখানে প্রতিটি পরিচ্ছন্ন কর্মী হেলথ কার্ড ও এককালীন ৩০ হাজার টাকা মৃত্যু বিমার সুবিধা পাচ্ছেন।
ওই ওয়ার্কশপে বক্তারা বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে অনেক বস্তি রয়েছে। এসব বস্তিতে বসবাসকারী মানুষ নি¤œবিত্ত, স্বল্পশিক্ষিত হওয়ায় তাদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা কম। সেখানে নিরাপদ খাবার পানি অপর্যাপ্ত। স্যানিটেশন ব্যবস্থাও অপ্রতুল। তাই মানুষকে পানি, হাইজিন, স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতন করা ও এসব সেবা দিতেই আমাদের এ কার্যক্রম।’