কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের নামে রাজপথে আবারো সহিংসতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বিএনপি। তিনি প্রশ্ন করেন, আজকাল বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে বাঁশের লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা দেখা যাচ্ছে, এটা কিসের আলামত? এটা কি জাতীয় পতাকার অবমাননা নয়? গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির দুর্নীতি বিশ্ববিদিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে নিজেদের দলকে দুর্নীতিবাজদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে। বিএনপি কখনো কোনো দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সাহস দেখাতে পারেনি। বিএনপি যখন দুর্নীতি নিয়ে বড় বড় কথা বলে তখন মানুষ হাসে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সক্ষমতায় বিএনপি আত্ম দহনে দগ্ধ হচ্ছে- দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা এখন মেগা হতাশায় ভুগছে। তারা একসময় বলেছিলেন জোড়াতালির পদ্মা সেতু যে কোনো সময় ভেঙে পড়বে, অথচ বিএনপি নেতারা এখন ঠিকই পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন।
বিএনপি নেতাদের নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই প্রহসনের নির্বাচন জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে সামরিক উর্দি পরে, আবার কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করে, কখনো গায়েবি ভোটার তৈরি করে জনগণের নির্বাচনের অধিকার হরণ করেছিল। বিএনপির মুখে নিরপেক্ষ নির্বাচন ভূতের মুখে রাম নাম।
বিএনপি সেসব অপকর্ম ভুলে থাকতে চাইলেও জনগণ কিন্তু তাদের অতীত অপকর্ম ভুলে যায়নি।
সরকার জণগণ থেকে দূরে সরে গেছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে সরকার নয়, বিএনপির সঙ্গে তৈরি হয়েছে জনগণের যোজন-যোজন দূরত্ব। এই দলটি এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচনে যেমন ব্যর্থ তেমনি আন্দোলনেও ব্যর্থ। অতীতে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো তখন জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য এবং জনগণের চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো উন্নয়ন স্থাপন করতে পারে নাই, যে কারণে জনগণের সঙ্গে তাদের দূরত্ব শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র লিপ সার্ভিস দিয়ে এবং বক্তৃতা বিবৃতিতে বিষোদগার করে জনগণের থেকে দূরত্ব কমানো সম্ভব নয়।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকার প্রধান ইউহো হায়াকাওয়া সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।