স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

ফ্লোর প্রাইসে আটক ১৪২ কোম্পানির শেয়ার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইসের ফাঁদে আটকা পড়েছে ১৪২টি কোম্পানির শেয়ার। ফলে এসব কোম্পানির ক্রেতা-বিক্রেতা শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারছে না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত রবিবার ডিএসইতে মোট ৩৭১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটিরে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এদিন মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৪টি কোম্পানিসহ মোট ১৪২টি কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসেই পড়ে আছে। ফলে এসব কোম্পানির বিনিয়োগাকারীরা শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারে না। তারা বলেন, বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপের শেয়ারের পাশাপাশি জেএমআই হসপিটাল এবং সি পার্ল হোটেলসহ হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারও দাম কমছে। এগুলো ফ্লোর প্রাইসের আটকা পড়ছে। বাজারে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্যান্য খাতের শেয়ারের তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ডের পাশাপাশি বস্ত্র, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ার বেশি ফ্লোর প্রাইসের মধ্যে আটকা রয়েছে। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিরবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, ফ্লোর প্রাইস দেয়া বিষয়টি আমিও পছন্দ করি না। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এটি আমাদের দিতে হয়েছে। তা না হলে বাজারের দরপতন হয়ে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, করোনার মহামারি থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় দেশে প্রথমবার ২০২০ সালে ফ্লোর প্রাইস (দাম কমার সীমা) দিয়েছি।
এরপর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়। তিনি বলেন, আশা করছি বাজার স্বাভাবিক হলে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হবে।
চলতি বছরের ২৮ জুলাই পুঁজিবাজারের দরপতন ঠেকাতে সর্বনি¤œ বাজার মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপর শেয়ার দাম বাড়ায়-কমায় ফ্লোর প্রাইসের নিচে থাকা কোম্পানির সংখ্যাও ওঠানামা করতে থাকে। ফ্লোর প্রাইস হলো- কোনো কোম্পানির সর্বশেষ পাঁচ কর্মদিসের শেয়ারের গড় প্রাইস কে বলা হয় ফ্লোর প্রাইস। ফ্লোর প্রাইস আরোপের ফলে বর্তমানে কোনো সার্কিট ব্রেকার নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়