মর্টার শেল নিক্ষেপ,: রোহিঙ্গা নিহত, আহত ছয়জন

আগের সংবাদ

মাঠে মারমুখী আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

সাগরের ইলিশে সয়লাব চাঁদপুরের আড়ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ল²ণ চন্দ্র সূত্রধর, চাঁদপুর থেকে : পদ্মা-মেঘনা নদীতে রুপালি ইলিশের দেখা না মিললেও সাগরের বড়-বড় ইলিশে এখন সয়লাব চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক আড়ত। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ আড়তগুলো নিরব থাকার পর আবার ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও শ্রমিকদের আসা যাওয়ায় ব্যাপক জমজমাট হয়ে উঠেছে।
সাগরের আমদানি করা ইলিশে চাঁদপুর মৎস্য আড়ত এখন সরগরম। যে কারণে পাইকারি আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা ব্যস্ততম সময় পার করছেন। বড় ট্রলার ও ট্রাকে করে সকাল থেকেই সাগরে আহরিত ইলিশ আসছে শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে। তবে ইলিশের দাম আগের মতোই। চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীতে রুপালি ইলিশ কম পাওয়া গেলেও সাগরে আহরিত ইলিশে এখন ভরপুর আড়তগুলো।
গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের সবচেয়ে বড় ইলিশের পাইকারি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। সাগরের ইলিশগুলো অধিকাংশ ট্রলারে করে ঘাটে আসছে এবং নোয়খালী জেলার হাতিয়া অঞ্চলের ইলিশগুলো আসছে সড়ক পথে ট্রাকে করে চাঁদপুর আড়তে।
মাছঘাটে য়েছে ৫০টির অধিক আড়ত। প্রত্যেক আড়তের সামনে বড় বড় সাইজের ইলিশের স্তূপ। গত ৩-৪ বছর চাঁদপুরের আড়তগলোতে এত বড় সাইজের ইলিশ আমদানি হয়নি বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এবছর সর্বোচ্চ বড় সাইজের ইলিশ বেশি আমদানি হচ্ছে। বিশেষ করে ১ কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বেশি আসছে। ছোট সাইজের ইলিশের খুবই কম দেখা মিলে। মেসার্স ভাই ভাই ফিসারিজের বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের চাহিদাই সবচাইতে বেশি ক্রেতার কাছে। কিন্তু যে পরিমান আমদানি হয়, তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা। জেলেরা যে পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছে, তা খুব চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি সাইজের লোকাল ইলিশ প্রতি কেজি ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগরের ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, এক কেজি এবং এক কেজির ওপরের সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৭০০ টাকা দরে। মাছঘাটে অনলাইনে এবং খুচরা ইলিশ বিক্রি করেন মো. মাছুদ। তিনি বলেন, আমাদের কাছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পদ্মা-মেঘনার রুপালি ইলিশের অর্ডার বেশি আসে। কিন্তু গত ৩ বছর ধরে লোকাল ইলিশের আমদানি খুবই কম। চাহিদা থাকলেও আমরা ক্রেতাদের সে চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারছি না।
আগে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী রুপারি ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। এখন তারা পদ্মা-মেঘনার ইলিশ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশ কম পাওয়ার বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, যেসব এলাকায় ইলিশ পাওয়ায় যায়, সেখানে ইলিশের প্রাপ্যতা হ্রাসের বেশ কিছু কারণ আছে। এ মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে-নদীতে পানি প্রবাহ হ্রাস, সামগ্রীকভাবে দেশের বৃষ্টির পরিমাণ কম, নদীতে যে আবাসস্থল রয়েছে তাতে পরিবেশগত বিপর্যয় অনেকাংশ দায়ী বলা যায়। এ ছাড়া নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবুচর জেগে উঠাও একটি বড় কারনে। নদীর যে পরিমাণ সমস্যা দেখা যায় সেসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে আবারো পুরনো দিনের মতো বিগত বছরগুলোর মতো জেলেরা অবশ্যই তাদের কাক্সিক্ষত ইলিশ পাবে প্রচুর পরিমাণে ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়