২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু : হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৩

আগের সংবাদ

সমান সুযোগের রূপরেখা নেই : ইসির রোডম্যাপ

পরের সংবাদ

গাজীপুর পাসপোর্ট অফিস : স্বস্তি ফিরেছে, বেড়েছে সেবার মান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান, গাজীপুর থেকে ফিরে : কোনো ধরনের হয়রানি, ভোগান্তি ও ঝামেলা ছাড়াই পাসপোর্টের বায়ো-এনরোলমেন্ট ও উত্তোলন করছেন গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আবেদনকারীরা। এখানে দিনে প্রায় ৫-৬০০’র বেশি আবেদন জমা হয়। তার মধ্যে এক-চতুর্থাংশ আসে তথ্য সংশোধনের। আবার কিছু আবেদন পূর্বের তথ্য গোপন করে জমা দেয়া হয়।
সরেজমিনে গত মঙ্গলবার গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, অফিসটিতে রয়েছে পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের আলাদা-আলাদা ছবি তোলার কক্ষ। সবাই শৃঙ্খলভাবে একজন আরেকজনের পেছনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নিচ্ছেন। আবার এখানে রয়েছে বসার স্থান, বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা ও বিশ্রামাগার।
কথা হয় নিজের পাসপোর্ট নিতে আসা টুঙ্গী এলাকা থেকে এক বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে। পাসপোর্ট জমা দিতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, আমি নিজেই আবেদন ফরম পূরণ করে সবকিছুই জমা দিয়েছি। আমার তেমন কোনো বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়নি। এমনকি ওখানে দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা খুবই আন্তরিক। তাদের কাছ থেকে সব সহযোগিতা পেয়েছি। পাসপোর্টের সেবার মান সম্পর্কে জানতে চাইলে গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের (আরপিও) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, আমি এখানে যোগদান করবার পর থেকে পাসপোর্ট করতে আসা আবেদনকারীদের সমস্যা শুনে তার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করছি। আর যেসব আবেদনে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ে কথা বলে সমাধান করার পথ খুঁজে বের করছি। কারণ, এখানে যেহেতু আমি দায়িত্বে রয়েছি, আবেদনকারীরা আমার কাছে তাদের সমস্যা নিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট পাওয়া কিন্তু বাংলাদেশের বৈধ নাগরিকের অধিকার। আবেদনকারীর আবেদনের সঙ্গে তার শর্তাবলি পূরণ করলে সে নিঃসন্দেহে পাসপোর্ট ঝামেলা ছাড়াই পেয়ে যাচ্ছেন। এ কর্মকর্তা আরো জানান, যাদের রিইস্যু আবেদনে বড় ধরনের তথ্য পরিবর্তন রয়েছে সেগুলো পেতে একটু সময় লাগছে। তবে আমরা যাতে আরো কম সময় লাগে সে ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে পাসপোর্ট করতে আসা আবেদনকারীদের এখানে দালালের দৌরাত্ম্য ও কোনো ধরনের হয়রানি আছে কিনা জানতে চাইলে গাজীপুরের টিআইবি ও সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক ) সদস্য মুহাম্মদ ফজলে নিজামী ভোরের কাগজকে বলেন, দালালের দৃশ্যমান দেখা না মিললেও অদৃশ্যভাবে তাদের রয়েছে আনাগোনা। অফিসের কারো সঙ্গে তাদের কোনো সখ্যতা রয়েছে কিনা জানতে তিনি আরো বলেন, অফিসের কারো সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলেও শুনেছি আবেদনকারীদের কাছে অফিসের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে আর্থিক সুবিধা নেয়। এ ব্যাপারে অফিসের কর্মকর্তাদের কঠোর নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়